
এবিএনএ : “টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত গবেষণা ও নতুন নতুন উদ্ভাবন। তাই টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে বাংলাদেশ ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের যৌথ গবেষণাকর্মের প্রয়োজন। ”
আজ মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন চেম্বার্স অব কমার্স আয়োজিত ‘হরাইজন ২০২০: অপরচুনিটিস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
মেট্রোপলিটন চেম্বার্স অব কমার্সের সভাপতি নিহাদ কবীরের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। অন্যদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন পিয়েরে মেইডন বক্তব্য দেন।
স্পিকার বলেন, “জলবায়ুর পরিবর্তন ও বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় লবণাক্ততার প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিতে কৃষিখাতে গবেষণা ও নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের গবেষণা দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে। এ ছাড়া সামাজিক ও শিল্পখাতের বিভিন্ন বিষয়ে এ গবেষণা হতে পারে। তিনি এ বিষয়ে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, “হরাইজন ২০২০ এর কর্মসূচি ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয়েছে, যা ২০২০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ১৫টি যৌথ গবেষণা কর্ম ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। ” তিনি বলেন, “আগামী দিনগুলোতে অনেক গবেষণার সুযোগ রয়েছে। যৌথ উদ্যোগের এ গবেষণাকর্ম একটি নতুন পদক্ষেপ, যা থেকে নতুন কিছু শেখার সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্পিকার বলেন, “বাংলাদেশের সমসাময়িক বিষয়গুলোর মধ্যে জনমিতি, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিবেশসম্মত জ্বালানি, ওষুধ শিল্প, ব্লু ইকনমি, সফটওয়ার শিল্প প্রভৃতি খাতে যৌথ গবেষণাকর্মের সুযোগ রয়েছে। ” তিনি এ সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশের গবেষক ও উদ্ভাবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
Share this content: