
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এতো দিন জেলে থাকলেও তারা একটা কর্মসূচি পালন করেনি। তারা মূলত সরকার দলীয় লোক। কমিটিতে আসতে হলে ত্যাগ লাগে, শিক্ষা লাগে। তাদের নামে একটা মামলাও নেই। আর যারা কমিটিতে এসেছে তারা রাতে বাসায় ঘুমাতে পারে না। আজ আমরা নেত্রীর মুক্তির দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল শেষ দলীয় অফিসে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি তালা মারা। তালা খুলতে গেলে আমাদের উপর ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।
সিটি মেয়র সমর্থিত কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, ছাত্রদলের মহানগর ও দক্ষিণ জেলার পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে নেতা-কর্মীরা দলীয় অফিসে তালা লাগায়। আজ তারা তালা খুলতে গেলে তাদের প্রতিহত করা হয়েছে।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন জানান, মেয়র গ্রুপ ও ইয়াছিন গ্রুপের ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা ৪১ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোঁড়ে। এবিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন পর কমিটি হয়েছে। পদ কম কিন্তু পদ প্রত্যাশী বেশি। এনিয়ে কিছু মান-অভিমান রয়েছে। দেশ ও দলের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজকে সভাপতি ও ফরিদ উদ্দিন শিবলুকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্যের ছাত্রদলের কুমিল্লা মহানগর কমিটি এবং নাদিমুর রহমান শিশিরকে সভাপতি ও তোফায়েল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রদলের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
Share this content: