আমেরিকা

আরও ২টি যৌন হয়রানির অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

এবিএনএ : সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছেই না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এইতো কিছুদিন আগেই তার একটি অডিও টেপ প্রকাশ পায়। সেই টেপে তিনি নারীদের চরম অবমাননা করেছেন। তার পরপরই তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই  তার বিরুদ্ধে আবারও যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন আরও দুই নারী। এই দুই নারী হলেন ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন ও সামার জেরভস। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরের মত এবারও  এসব অভিযোগ মিথ্যা ও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

ক্রিস্টিন ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, “১৯৯০-এর দশকে নিউইয়র্ক ক্লাবে রিপাবলিকান দল মনোনীত প্রার্থী ট্রাম্প তার স্কার্টে হাত দিয়েছেন এবং আপত্তিকর জায়গায় জোরপূর্বক স্পর্শ করেছেন।”

ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন (৪৬) বলেন, “সে সময় নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের এক নৈশক্লাবে ওয়েট্রেস ছিলেন এবং মডেল হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। একদিন সেই ক্লাবে লাল মখমলের সোফায় তিনি একজন লোককে বসে থাকতে দেখেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বুঝতে পারেন সোফায় বসে থাকা লোকটি একজন ধনকুবের।”

তিনি বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) দেখতে একদম আলাদা ছিলেন। বিশেষ করে তার চুল এবং ভ্রু। ওই রকম ভ্রু আর কারও ছিল না। সেদিন তিনি আমার অন্তর্বাসে হাত দেন। অবশ্য তাতে কোনো যৌনাবেদন ছিল না। কেন তিনি এ রকম করেছিলেন আমি জানি না। তিনি এ রকম করতে পারেন আর এ জন্য তার কিছুই হবে না, হয়ত এটা প্রমাণ করার জন্যই তা করেছেন।’

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের টিভি ধারাবাহিক অ্যাপ্রেনটিসে সুযোগ পেতে পরীক্ষা দিতে আসা সামার বলেন, “লস অ্যাঞ্জেলেসের হোটেলে জোর করে ট্রাম্প তাঁর ঠোঁটে চুমু দিয়েছেন এবং আপত্তিকর জায়গায় স্পর্শ করেছেন।”

এ ছাড়া সামার জেরভস (৪১) বলেন, “চাকরির সুযোগ বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে গেলে তিনি যৌন হয়রানির শিকার হন। লস অ্যাঞ্জেলেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০০৭ সালে বেভারলি হিলস হোটেলের বাংলোয় তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ট্রাম্প তাঁর মুখে চুমু দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এরপর তিনি তাঁর পাশে বসতে বলেন এবং কাঁধে হাত দিয়ে চুমু দিতে শুরু করেন। আপত্তিকর জায়গায় হাত দিয়ে শোবার ঘরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি এতে বাধা দেন। এরপর ট্রাম্প তাকে অল্প বেতনের চাকরির প্রস্তাব দেন।”

যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সব অস্বীকার করে আসছেন। নির্বাচন পূর্বে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে  বিভিন্ন জরিপে ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের বেশ কিছু পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন। এ ছাড়া তার নিজ দলের জ্যেষ্ঠ অনেক নেতা তার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

Share this content:

Back to top button