শরতের সকালে টানা বৃষ্টিতে অচল রাজধানী, ভোগান্তিতে লাখো মানুষ
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসেই ঢাকার রাস্তায় পানি জমে তৈরি হয় ভয়াবহ যানজট, গুনতে হয় বাড়তি ভাড়া, পথচারীদেরও পড়তে হয় বিপাকে


এবিএনএ: শরতের সকালে ঢাকার রাস্তায় টানা বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয় চরম দুর্ভোগের। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই শহরের বহু সড়ক পানিতে ডুবে যায়। ফলে অফিসগামী মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা সবাই ভোগান্তিতে পড়েন। কর্মদিবসের প্রথম দিন হওয়ায় যানজটের তীব্রতা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে স্থবির হয়ে পড়ে যান চলাচল। বিশেষ করে আগারগাঁও মোড় থেকে মিরপুর-১০, বিমানবন্দর সড়ক, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ ও ফার্মগেট এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক যাত্রী বাধ্য হয়ে বাস ছেড়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন।
ঢাকা ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সরওয়ার জানান, কর্মদিবসের কারণে সড়কে যানবাহনের চাপ আগেই ছিল। এর মধ্যে বৃষ্টিতে খানাখন্দে ভরা রাস্তা ও পানিবদ্ধতার কারণে ধীরগতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও মাঠে নামেন।
যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দেন রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা। অনেকেই সুযোগ বুঝে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করেন। ফলে সাধারণ মানুষকে পড়তে হয় দ্বিগুণ বিড়ম্বনায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকায় গতকাল ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে মোহাম্মদপুর, শেওড়াপাড়া, বছিলা, কারওয়ান বাজার ও মিরপুরসহ বহু এলাকায় পানি জমে যায়। ফলে অফিসগামী কর্মজীবী থেকে শুরু করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েন।
এক অফিসকর্মী জানান, সাধারণ দিনে আগারগাঁও থেকে ফার্মগেট পৌঁছাতে যেখানে আধাঘণ্টা লাগে, সেখানে গতকাল লেগেছে প্রায় দেড় ঘণ্টা। মোহাম্মদপুরের এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, সাধারণত এক ঘণ্টায় অফিসে পৌঁছালেও এদিন তাঁর সময় লেগেছে দ্বিগুণ।
পানিবদ্ধ রাস্তায় হাঁটুপানি পেরিয়ে চলাচল করতে হয় অনেককেই। মিরপুরের আনসার ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা মামুন হোসেন বলেন, “বাসা থেকে বের হয়ে দেখি পুরো গলি পানিতে তলিয়ে গেছে। রিকশা নেই, শেষমেশ হাঁটুপানি মাড়িয়ে মূল সড়কে যেতে হয়েছে।”