

এবিএনএ: সশস্ত্র বাহিনী দিবস–২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও দেশপ্রেমই হতে পারে জাতির প্রধান ভরসা। তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করে বলেন, দেশের পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণে সেনাবাহিনীর ভূমিকা ভবিষ্যতেও সমান কার্যকরভাবে অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধের সাহসী বীরদের স্মরণ করেন এবং বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম যুদ্ধক্ষেত্রে। ২৫ মার্চের রাত থেকেই মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের সংগ্রাম শুরু হয় এবং ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর যৌথ অভিযানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চূড়ান্ত রূপ নিশ্চিত হয়। সেই ঐতিহাসিক সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনী আজও দেশের নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি ২০২৪ সালের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাদের আত্মত্যাগ আমাদের জন্য দেশ পুনর্গঠনের নতুন এক দ্বার খুলে দিয়েছে। তিনি বলেন, জনগণের আস্থা ধরে রাখতে সশস্ত্র বাহিনীকে শুধু দায়িত্ব পালন করলেই চলবে না, বরং সর্বোচ্চ দক্ষতা, সততা ও পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করতে হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ কৌশলগত ও পেশাদারিত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, দেশের স্বার্থে তাদের দায়িত্ব পালন হবে নিষ্ঠা, মর্যাদা ও আন্তরিকতায় ভরা।
গত ৩৭ বছরে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ৪৩টি দেশে ৬৩টি মিশনে অংশগ্রহণের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। তিনি শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা, প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক সরঞ্জামের উন্নয়নে আরও শক্তিশালী উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারের কল্যাণ কামনা করেন এবং বলেন, উন্নয়নযাত্রায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলেই বাংলাদেশ সাফল্যের নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে।




