শিক্ষা

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদে নতুন নিয়ম: শুধু সরকারি কর্মকর্তা হতে পারবেন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতির পদে সরকারি চাকরিজীবী বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এবিএনএ: বেসরকারি স্কুল ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির পদে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুধুমাত্র সরকারি চাকরিজীবী বা নবম গ্রেড এবং এর ওপরে থাকা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এই পদে থাকতে পারবেন।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠন করতে হবে। এরপর ১ ডিসেম্বর থেকে সব অ্যাডহক কমিটি বাতিল হয়ে যাবে।

এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১৮ নভেম্বর সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

নতুন প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে, সভাপতির পদে থাকতে হলে প্রার্থীর ন্যূনতম স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। নবম গ্রেডের নিচে নয় এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেড বা তার ওপরে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক খন্দোকার এহসানুল কবির গণমাধ্যমকে বলেন, “সভাপতি নির্বাচনের নিয়মে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা কিংবা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জন্যই এ পদ সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। অন্য পদগুলো আগের নিয়মেই থাকবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button