রিমান্ডে সাবেক উপাচার্য কলিমুল্লাহ: আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি
দুর্নীতির মামলায় রিমান্ডে পাঠানো হলেও আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ।


এবিএনএ: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে দুর্নীতির মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর পর তাঁকে আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে তুলে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আদালত প্রাঙ্গণে দুপুরে হাজির হওয়ার পর তাঁকে প্রথমে হাজতখানায় রাখা হয়। পরে হেলমেট পরিয়ে আদালতের এজলাসে নেওয়া হলে প্রায় ৫০ মিনিট তিনি নীরবভাবে বসে থাকেন। বেলা ২টা ৫২ মিনিটে শুনানি শুরু হয়।
দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম অভিযোগ করেন, সাবেক উপাচার্য কলিমুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট নির্মাণে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এ ছাড়া ঠিকাদারকে আইনবহির্ভূতভাবে ঋণ দেওয়া এবং ঢাকায় লিয়াজোঁ অফিসে বসে দায়িত্ব পালনের অভিযোগও তুলে ধরেন তিনি।
আদালতে নিজের বক্তব্যে কলিমুল্লাহ জানান, এসব অনিয়ম আগের উপাচার্যের আমল থেকে শুরু হয়, তিনি শুধু কাজ চালিয়ে গেছেন। তিনি দাবি করেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা নেই এবং তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
আদালত তাঁর বক্তব্য শোনার পর মন্তব্য করেন, দায়িত্ব পালনে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন এবং অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। পরবর্তীতে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে দুদককে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে কলিমুল্লাহ সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “আমি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই। দুদক যেন কার্যকরভাবে কাজ করে।” বিকেল পৌনে চারটার দিকে তাঁকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
গত জুনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক কলিমুল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ মামলাতেই তিনি এখন রিমান্ডে রয়েছেন।