পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় দুই আসামি রিমান্ডে, তীব্র নৃশংসতায় কেঁপে উঠেছে এলাকা
ইট-পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, পৃথক হত্যা ও অস্ত্র মামলায় দুই অভিযুক্তের রিমান্ড মঞ্জুর করল আদালত


এবিএনএ: রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় নির্মমভাবে খুন হওয়া ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী মো. সোহাগ হত্যা মামলায় দুই অভিযুক্তকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন—মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা আজ শুক্রবার পৃথক দুটি মামলায় এই দুইজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই তানভীর জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে—একটি হত্যা মামলা এবং অপরটি অস্ত্র আইনে। হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে মাহমুদুল হাসান মহিনকে ৫ দিনের রিমান্ডে এবং অস্ত্র মামলায় রবিনকে ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মর্মান্তিক এ হত্যাকাণ্ড ঘটে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেট সংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে। সেখানেই সোহাগকে ইট ও পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। নৃশংস এই ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রজনী ঘোষ লেনে ভাঙাড়ির ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ঘটনার পরপরই মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিন নামের দুই যুবককে আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় পৃথক হত্যা ও অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে উভয় আসামির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।