তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক কেন সঠিক নয়—সরাসরি ব্যাখ্যা দিলেন শান্ত
নাজমুল হোসেন শান্ত টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে বললেন, দলীয় ঐক্যের স্বার্থেই তিন অধিনায়ক তত্ত্বকে বাস্তবসম্মত মনে করেন না তিনি


এবিএনএ: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বো টেস্ট শেষে সাংবাদিকদের সামনে বিস্ময়কর ঘোষণা দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত—তিনি আর বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক নন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ নয়, বরং গভীর চিন্তা ও দলের বৃহত্তর স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত।
শান্ত বলেন, তিন ফরম্যাটে তিনজন আলাদা অধিনায়ক থাকলে মাঠের বাইরের বিভাজন ড্রেসিংরুমেও ছড়ায়। দলীয় ঐক্য, পারস্পরিক আস্থা এবং খেলোয়াড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই তিনি নিজ থেকেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফরের আগে বিসিবি মেহেদী হাসান মিরাজকে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে ভাবার কথা শান্তকে জানায়। এরপরই সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলেন তিনি—শুধু টেস্ট ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব করে দলীয় ঐক্যে ভাঙন ধরাতে চান না।
সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, “আমি বিভিন্ন দলের হয়ে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছি। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক বাস্তবসম্মত নয়। এতে দলে গ্রুপিং তৈরি হয়, যা ক্ষতিকর।”
ক্রিকেট বোদ্ধারা মনে করেন, একজন অধিনায়কের পছন্দের খেলোয়াড়দের বারবার দলে জায়গা পাওয়া এবং অন্য অধিনায়কের সেই খেলোয়াড়দের না চাইলে অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন তৈরি হয়। ওয়ানডে অধিনায়কের পছন্দ টেস্ট অধিনায়ককে না মানলে, কিংবা টি-২০ অধিনায়ক সেই খেলোয়াড়কে দলে না চাইলে বিভক্তি তৈরি হয়।
এর আগেও বিসিবি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যখন মাহমুদউল্লাহ টি-২০, মাশরাফি ওয়ানডে এবং সাকিব টেস্ট দলের নেতৃত্বে ছিলেন। সেসময়ের ড্রেসিংরুমে বিরূপ পরিবেশের উদাহরণ শান্তের সিদ্ধান্তে নতুন করে উঠে এলো।
শান্তর এই আত্মত্যাগ দলীয় ঐক্যের প্রতি তার দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ। তিন অধিনায়ক তত্ত্ব কার্যকর হলেও, সেটা প্রতিটি খেলোয়াড়ের মানসিকতা এবং নেতৃত্বদানে সমন্বয়ের ওপর নির্ভর করে বলেও অনেকে মনে করেন।