ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাটকীয়তা: লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৫ জনকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে গেল পুলিশ
‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে একদল ব্যক্তির অবরোধ, গোলটেবিল বৈঠক থেকে লতিফ সিদ্দিকী ও অধ্যাপক হাফিজুর রহমানসহ সবাই পুলিশের হাতে সোপর্দ


এবিএনএ: ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠক থেকে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন)সহ অন্তত ১৫ জনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে তাঁদের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) নাসিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নিজেদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে একদল ব্যক্তি অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করে অংশগ্রহণকারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এরপর তাঁরা স্লোগান দিতে দিতে আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং অবরুদ্ধদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৈঠকটি শুরু হয় বেলা ১১টার দিকে। ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছিল ‘মঞ্চ ৭১’। যদিও প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ড. কামাল হোসেন অনুষ্ঠানে আসেননি।
প্রথম বক্তৃতায় অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, দেশের সংবিধানকে বিপথে নেয়ার চেষ্টা চলছে এবং এর সঙ্গে যুক্ত জামায়াত, এনসিপি ও অধ্যাপক ইউনূসের অনুসারীরা। তাঁর বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরই হট্টগোল শুরু হয়।
অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আসাদুজ্জামান জানান, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে লতিফ সিদ্দিকীসহ কয়েকজনকে পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, “আমি কোনো সমস্যা হবে জানতাম না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। দাওয়াত পেয়েই অনুষ্ঠানে এসেছিলাম।”
অন্যদিকে, পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে আল আমিন রাসেল নামে এক ব্যক্তি দাবি করেন, “এখানে পতিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা ষড়যন্ত্র করছিল। জুলাই যোদ্ধারা জীবিত থাকতে এটা হতে দেওয়া হবে না।”