দামেস্কে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের কাছে ইসরায়েলি বিমান হামলা, উত্তপ্ত সিরিয়া
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের পাশে ইসরায়েলের সরাসরি আক্রমণ, দক্ষিণে দ্রুজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংঘর্ষও অব্যাহত


এবিএনএ: ইসরায়েল ও সিরিয়ার মধ্যকার উত্তেজনা ফের চরমে পৌঁছেছে। বুধবার ভোরে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের আশপাশে ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরের কাছে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের সুয়েইদা শহরে সরকারি বাহিনীর ওপর ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
আল জাজিরা জানিয়েছে, দক্ষিণ সিরিয়ায় দ্রুজ সম্প্রদায়ের বসবাসকারী এলাকাগুলোতে কয়েকদিন ধরে সরকারবিরোধী উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওই এলাকাতেই ইসরায়েলি ড্রোন ও বিমান হামলার তীব্রতা বেড়েছে।
বিবিসির তথ্যমতে, বুধবারের এই হামলায় অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। তারা সবাই সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
ইসরায়েল কয়েকদিন আগেই সিরিয়ার সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছিল, তাদের বাহিনী দক্ষিণ থেকে না সরালে আঘাত আসবে। সেই হুঁশিয়ারির বাস্তবায়ন হিসেবেই এই হামলা বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
আইডিএফ-এর দাবি, দামেস্কের উপকণ্ঠে অবস্থিত সরকারি সামরিক সদর দপ্তরের প্রবেশপথে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলে আরও কিছু কৌশলগত স্থাপনাতেও হামলা চালানো হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া বার্তায়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ লেখেন—“সতর্কবার্তা শেষ, এবার যন্ত্রণাদায়ক প্রতিক্রিয়া শুরু।”
এই হামলার পর রাজধানী দামেস্কে বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো শহর। আকাশে উড়তে দেখা গেছে বিশাল ধোঁয়ার কুন্ডলি।
এমন এক সময় এই হামলা চালানো হলো, যখন সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্তেজনা চরমে, এবং দ্রুজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরকারপন্থীদের সংঘর্ষ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।