বিদায়েও আলোচনায় মাস্ক, ট্রাম্প দিলেন সোনার চাবি
সরকারি ব্যয়ের রাশ টেনে আলোচনায় ইলন মাস্ক, ট্রাম্প বললেন—“এ বিদায় নয়, এটা শুরু”


এবিএনএ:
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন প্রযুক্তি জগতের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তি ইলন মাস্ক। বিদায় অনুষ্ঠানে ওভাল অফিসে তাকে সম্মান জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশেষভাবে তৈরি একটি বড় সোনার চাবি তুলে দিয়ে ট্রাম্প বলেন,
“এ ধরনের উপহার আমি শুধু বিশেষ মানুষদের দেই। মাস্ক আমাদের জন্য অসাধারণ কাজ করেছেন।”
শুক্রবার আয়োজিত বিদায় অনুষ্ঠানে মাস্ক ছিলেন একেবারে ভিন্ন সাজে— কালো টি-শার্টে সাদা অক্ষরে লেখা ছিল “DOEG Father” এবং মাথায় ছিল কালো ক্যাপ। এই পোশাকেই তিনি সরকারের খরচ সাশ্রয়ে নিজের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
ডিওজিই (Department of Government Efficiency) এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি হাজার হাজার সরকারি চাকরি কমানো, বেশ কিছু সংস্থা বিলুপ্ত করা এবং বৈদেশিক সহায়তায় বড় আকারে কাটছাঁট করেছেন। মাস্কের মতে, তার ঘোষিত ১ ট্রিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের পরিকল্পনার বাস্তব প্রভাব পেতে সময় লাগবে।
ট্রাম্পের প্রশংসা:
ট্রাম্প বলেন,
“মাস্কের সংস্কার কর্মসূচি কয়েক দশকে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন। সে সত্যিকার অর্থে বিদায় নিচ্ছে না—আমার বন্ধু হিসেবে সে থাকছেই।”
সংবাদ সম্মেলনে মাস্ককে জিজ্ঞাসা করা হয়, ভবিষ্যতে ডিওজিই-তে তিনি যুক্ত থাকবেন কিনা? উত্তরে মাস্ক বলেন,
“যখনই প্রেসিডেন্ট চাইবেন, আমি পরামর্শ দিতে প্রস্তুত।”
কালশিটে নিয়ে রহস্য:
মাস্কের ডান চোখের নিচে দৃশ্যমান একটি কালশিটে অনুষ্ঠানজুড়ে উপস্থিতদের কৌতূহল বাড়িয়ে তোলে। বিষয়টি ঘিরে গুঞ্জন আরও বেড়ে যায় নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের পর, যেখানে দাবি করা হয়—২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারে তিনি অতিরিক্ত কেটামিন ব্যবহার করেছিলেন, যার কারণে শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
তবে মাস্ক এই দাবি নাকচ করে জানিয়েছেন, তার ছোট ছেলে খেলার সময় দুর্ঘটনাবশত চোখে আঘাত করেছে। সংবাদ সম্মেলনেও তিনি বিষয়টি নিয়ে হালকা রসিকতায় বলেন,
“ঘরের ছোট বাচ্চার চেয়ে বড় বিপদ আর কিছু নেই!”
মাস্কের বিদায় হলেও তাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও প্রশাসনে প্রভাব বহাল থাকবে বলে ধারণা অনেকের।