
ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখন এমনিতেই বন্ধ, তখনও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে ‘নির্বাহী আদেশে’ ছুটি কার্যকর করার নির্দেশনা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। শিক্ষক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা একে ‘অযৌক্তিক ও বাস্তবতাবিবর্জিত’ সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন।
নির্দেশনাটিতে বলা হয়েছে, সরকার ১১ ও ১২ জুন ঈদ উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে দাপ্তরিক প্রয়োজনে ১৭ ও ২৪ মে শনিবার অফিস খোলা রাখতে বলা হয়েছে। অথচ শিক্ষা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, এমনকি কারিগরি প্রতিষ্ঠানও এই সময়ে বন্ধ থাকবে।
এক অভিজ্ঞ প্রধান শিক্ষক বলেন, “শিক্ষকরা ভ্যাকেশনাল চাকরিতে থাকেন, আর্থিক সুবিধা কম হলেও সুনির্দিষ্ট ছুটির সুযোগটাই একমাত্র প্রাপ্তি। সেখানে অন্য সেক্টরের সঙ্গে তুলনা টেনে ছুটির সময় বাতিল করে কাজ করানো অনুচিত।”
এবিএনএ: শিক্ষক সমাজের প্রশ্ন—যেখানে ১১ ও ১২ জুন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, সেখানে ‘নির্বাহী আদেশের ছুটি’ কীভাবে প্রযোজ্য? বরং ঈদের আগের শনিবারগুলো খোলা রাখার নির্দেশই আরও গোলযোগ বাড়াচ্ছে।
এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও কিছুটা অস্বস্তিতে। এক সিনিয়র সহকারী সচিব বলেন, “আমার ওপর যে দায়িত্ব ছিল, আমি সেটিই পালন করেছি। সমস্যা হলে তা ঊর্ধ্বতন মহল সমাধান করবেন।”
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, “সম্ভবত পুরো বিষয়টি তেমনভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। এখন এ বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।”
উপসংহার:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাক-নির্ধারিত ছুটির মধ্যে অতিরিক্ত সরকারি আদেশ চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষক মহলে অসন্তোষ তৈরি করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য দপ্তরের ছুটির ধরন এক না হওয়ায়, এমন সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবতার আলোকে পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Share this content: