জাতীয়

সীমানা পুনর্নির্ধারণে আদালতের রায়ের অপেক্ষায় ইসি: জানালেন সচিব

সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে রিট নিষ্পত্তির পরই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। প্রবাসী ভোটের জন্য আলাদা প্রকল্পে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি টাকা।

এবিএনএ: সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে চলমান বিতর্ক ও বিক্ষোভ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, আদালতের রায়ের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।

তিনি বলেন, “সীমানা বিন্যাস নিয়ে ইতোমধ্যে ১৪টি রিট হয়েছে। আমরা আদালতের ওপর আস্থাশীল। আদালত যে নির্দেশনা দেবে, সেটিই আমাদের জন্য চূড়ান্ত হবে।”

আন্দোলন ও ভাঙচুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যে কোনো ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম অনাকাঙ্ক্ষিত। এখন বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, তাই সেখান থেকেই যে রায় আসবে, সেটি আমাদের মানতেই হবে।”

এছাড়া প্রবাসী ভোটারদের জন্য আলাদা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, “প্রবাসীরা যাতে অনলাইনে নিবন্ধন করে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থায় সরকার প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করবে। ভোটারপ্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০০ টাকা।”

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসী ভোট নিশ্চিত করতে ‘দেশের বাইরে ভোটদান সিস্টেম উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের আগস্ট থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। এর আওতায় ৩০ জন পরামর্শকের জন্য ১৫ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে ২২ সেপ্টেম্বর বৈঠক করার কথা রয়েছে ইসির। সচিব জানান, ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ৭০ শতাংশ কেনাকাটা শেষ হয়েছে, বাকিটা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।

ইতিমধ্যে ২২টি নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য মাঠপর্যায়ে তদন্ত শেষ হয়েছে। পাশাপাশি তিন শতাধিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আবেদন করেছে। সেপ্টেম্বরের শেষে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

ইসি আরও জানিয়েছে, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যেসব নাগরিকের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সব মিলিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে প্রবাসী ভোটের সুযোগ থেকে শুরু করে সীমানা নির্ধারণ পর্যন্ত নানা উদ্যোগে ব্যস্ত সময় পার করছে নির্বাচন কমিশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button