ঢাকার রাস্তায় কোরবানির বর্জ্য: ‘পরিষ্কার’ দাবি ডিএনসিসির, মাঠে ভিন্ন চিত্র!
ডিএনসিসি বলছে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ শেষ, তবে বিভিন্ন এলাকায় দেখা মিলছে রক্ত-মাংসের স্তূপ, চলছে বিতর্ক


এবিএনএ:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) দাবি করেছে, তারা কোরবানির ঈদের প্রথম দিনেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করেছে। তবে বাস্তব চিত্র কিছুটা ভিন্ন। রবিবার (৮ জুন) দুপুর থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তায় এখনো পশুর রক্ত ও বর্জ্য ছড়িয়ে রয়েছে। এসব ছবিও উঠে এসেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
এই প্রসঙ্গে রবিবার ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়, শনিবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে যে বিজ্ঞপ্তিতে ‘শতভাগ বর্জ্য অপসারণ’ বলা হয়েছিল, তা ছিল ঈদের প্রথম দিনের কোরবানির বর্জ্যের সর্বশেষ তথ্য। এরপর আরও নতুন কোরবানি হওয়ায় সেসব বর্জ্য রাতেই এসটিএস ও সড়কে সাময়িকভাবে রাখা হয়, যা রবিবার সকালে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
ডিএনসিসি আরও জানায়, ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও পশু কোরবানি হয়, ফলে প্রতিনিয়তই নতুন বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এসব বর্জ্য অপসারণের কাজও চলছে ধারাবাহিকভাবে। ডিএনসিসির ১০ হাজারেরও বেশি কর্মী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে।
প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, ঘোষিত সময়ের আগেই শহরকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে একটি পরিচ্ছন্ন ঢাকা উপহার দেওয়াই তাদের লক্ষ্য।
ডিএনসিসির তথ্য অনুযায়ী, রবিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত মোট ১৩,১৭৪ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। বর্জ্যবাহী ট্রাক আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে মোট ২,৫৮০টি ট্রিপ সম্পন্ন করেছে।
তবে জনসাধারণের অনেকে বলছেন, অনেক এলাকা এখনো দুর্গন্ধময় ও নোংরা অবস্থায় রয়েছে। তাই ডিএনসিসির “শতভাগ বর্জ্য অপসারণ” দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, ভবিষ্যতে সুনির্দিষ্ট সময় ধরে নয়, বরং বাস্তব পরিস্থিতির ভিত্তিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অগ্রগতি জানানো উচিত, যাতে জনস্বার্থ নিশ্চিত হয়।
Share this content: