নারী ভক্তকে কেন্দ্র করে মামলা, ডিপজলের জবাব—সবকিছুর বিচার আল্লাহ করবেন
নারী ভক্তের মারধর ও অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলার পর অভিনেতা ডিপজলের দাবি, পুরো বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিডিও প্রমাণ রয়েছে


এবিএনএ: ঢাকার একটি আদালতে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও তার একজন সহযোগীর বিরুদ্ধে মারধর ও অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন ডিপজল। তিনি দাবি করেছেন, এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি অপচেষ্টা।
ডিপজল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, “একজন মানসিকভাবে অসুস্থ ভক্তকে সামনে রেখে যেসব লোক নিজের স্বার্থে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ করছে, তারা সত্যিই নিন্দনীয়। আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ এই অপচেষ্টাকারীদের বিচার করবেন।”
তিনি জানান, সেই নারী কয়েকবার এফডিসিতে এসে কান্নাকাটি করে টাকা নিয়েছে। একবার ৫০ হাজার টাকা, পরে আরও কয়েক দফায় ১০–২০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। বিষয়টির ভিডিও প্রমাণও রয়েছে বলে জানান তিনি।
২০২৫ সালের ২ জুন তাকে গরুর হাটে দেখা গেছে বলে যেটি অভিযোগে বলা হয়েছে, সেটিকেও ‘পুরোপুরি মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন ডিপজল। তিনি বলেন, “আমরা ১৫ এপ্রিলেই হাটটি ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দিয়েছি। এরপর সেখানে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। অথচ ওই নারী দাবি করেছে, ২ জুন আমাকে সেখানে পেয়েছে!”
ডিপজল আরও জানান, হাটের সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিও প্রমাণ তার কাছে রয়েছে, যা এই অভিযোগের ভিত্তিহীনতা প্রমাণ করতে সক্ষম।
তিনি সঠিক বিচার দাবি করে বলেন, “আমি মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন করছি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য তুলে ধরুন। যারা এই নারীকে ব্যবহার করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাইছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনুন।”
অন্যদিকে, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ওই নারী ২ জুন কোরবানির গরুর হাটে ডিপজলের সঙ্গে দেখা করতে যান। তখন ডিপজলের পিএস তাকে বের করে দিতে বলেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এমনকি তাকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে বের করে দেওয়ার সময় এক ব্যক্তির মাধ্যমে তার গলায় এক ধরনের তরল পদার্থ ছুড়ে দেওয়া হয়, যা অ্যাসিড বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী।
তিনি পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হন এবং সেখানেই চিকিৎসা নেন। ১২ জুন মামলা করতে গেলে হুমকি দেওয়া হয় বলেও উল্লেখ রয়েছে এজাহারে।
শেষমেশ ডিপজল এই মামলা ও ঘটনাকে “চক্রান্ত” আখ্যা দিয়ে বলেন, “মিথ্যার পেছনে লুকানো সত্য বেরিয়ে আসবে। আমি নির্দোষ, আল্লাহ সব জানেন।”