এক সেকেন্ডের ব্যবধানে ঢাকায় ৩.৭ ও নরসিংদীতে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প, শুরু আতঙ্ক
বাড্ডায় প্রথম কম্পন, এক সেকেন্ড পরেই নরসিংদীতে দ্বিতীয় ভূমিকম্প; বিশেষজ্ঞরা বলছেন বড় ঝুঁকির সংকেত


এবিএনএ: ঢাকা ও নরসিংদী এক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুটি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রথম কম্পনটি অনুভূত হয় রাজধানীর বাড্ডা এলাকায়, যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৭। এর ঠিক এক সেকেন্ড পর নরসিংদীতে ঘটে আরও বড় একটি ভূমিকম্প, যার মাত্রা ৪ দশমিক ৩।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, “দুটি ভূমিকম্প খুব কাছাকাছি সময়ে হয়েছে। প্রথমটি ঢাকার বাড্ডায় ৩.৭ মাত্রায় অনুভূত হয়, এর এক সেকেন্ড পর নরসিংদীতে ৪.৩ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়।” তবে নরসিংদীর এ ভূমিকম্পটির গভীরতা বা সঠিক উৎসস্থল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও জানা যায়নি।
এর আগে একই দিনে সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৩.৩ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প ঘটে নরসিংদীর পলাশ উপজেলায়।
তবে এর আগের দিন, শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে নরসিংদীর মাধবদী থেকে উৎপন্ন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা। সেই ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়, আহত হন শতাধিক মানুষ।
একদিনের ব্যবধানে ৫টির বেশি ছোট ও মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ভূগর্ভে শক্তি সঞ্চয়ের একটি চেইন রিঅ্যাকশন শুরু হয়েছে, যা বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস হতে পারে। ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থলগুলো ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় ঝুঁকি আরও বেড়েছে বলে জানান ভূমিকম্প গবেষকরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ধারাবাহিকভাবে ভূমিকম্প হওয়ার অর্থ হলো ভূগর্ভস্থ ফল্ট লাইনে চাপ বেড়ে চলছে। তবে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়াতে ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোতে ভূমিকম্প প্রতিরোধী অবকাঠামো গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘন ঘন ভূকম্পনের এই ধারা সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও সচেতনতার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছে।




