চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার ছাত্রনেতাদের আদালত প্রাঙ্গণে মারধর
সাবেক এমপির বাসায় চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেফতার ছাত্রনেতারা আদালতে আনা হলে উত্তেজিত জনতার কিল-ঘুষি ও লাথির শিকার হন


এবিএনএ: রাজধানীর গুলশানে সাবেক মহিলা এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা দাবি করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের চার নেতাকে আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজিত জনতা কিল-ঘুষি ও লাথি মারে।
ঘটনাটি ঘটে রোববার বিকালে রিমান্ড শুনানির আগে ও পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রাঙ্গণে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন– ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ। পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আদালত তাদের প্রত্যেককে ৭ দিন করে রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
আদালতে শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করে, এই চক্র গত বছর আগস্ট থেকে ধানমন্ডি, গুলশান ও বনানী এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় গিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি করতো এবং পরবর্তীতে এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করত। এমনকি তারা বিভিন্ন সময়ে তারেক রহমানকেও কটাক্ষ করত।
রাষ্ট্রপক্ষ আরও জানায়, অভিযুক্তরা শেখ হাসিনাকে ‘পালিয়ে থাকা’ বলে মন্তব্য করে এবং এনসিপির ব্যানারে নিজেদের কর্মকাণ্ড চালাতো। তাদের রিমান্ডে এনে কোটি টাকার অবৈধ উৎস সম্পর্কে জানা যাবে বলে দাবি করে রাষ্ট্রপক্ষ।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, আসামিরা বাসায় যাওয়ার আগে থানায় জানিয়ে গিয়েছিলেন এবং ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। তবে আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় আবারও উত্তেজিত জনতা আসামিদের মারধর করে।
প্রসঙ্গত, ২৬ জুলাই রাতে গুলশানের সেই বাসায় চাঁদাবাজির সময় পুলিশ চারজনকে হাতেনাতে আটক করে। গ্রেফতারের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়।