এবিএনএ : যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করা নারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, অভিযোগকারী সব নারীর ভাষ্য ‘মিথ্যা’। নির্বাচনের পর মিথ্যাবাদী এই নারীদের ‘একহাত’ নেওয়ারও হুমকি দেন তিনি।
ট্রাম্প জানান, ১০০ দিনের মধ্যেই তিনি অবৈধ অভিবাসীদের ওপর খড়্গ নামাবেন। বিতাড়িত অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে যাদের অপরাধের রেকর্ড আছে, তাদের দুই থেকে পাঁচ বছরের বাধ্যতামূলক কারাবাসে পাঠাবেন। এ ছাড়া ‘অপরাধী অবৈধ অভিবাসীদের’ দেশ থেকে তাড়াবেন।
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যৌন নিপীড়নের অভিযোগকারী নারীদের ‘মিথ্যাবাদী’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, সব অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। নিপীড়নের কোনো ঘটনা একদমই ঘটেনি।
ট্রাম্পের অভিযোগ, এই নারীরা তাঁর নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার ফন্দি করছেন। অভিযোগকারী এসব নারীর বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচনের পর মামলা করবেন। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচারশিবির থেকেও এসবে ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে বলে ট্রাম্পের অভিযোগ।
শুধু অভিযোগকারী নারীদের ওপর ঝাল ঝেড়েই ট্রাম্প ক্ষান্ত হননি, এই ফাঁকে মার্কিন গণমাধ্যমকেও একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেন, মিডিয়া সব মিথ্যাবাদী। কোনো কিছু যাচাই না করেই মিডিয়া তাঁর বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
হুমকি দিলেও আদৌ মামলা করবেন কি না, তা নিয়ে মার্কিন মিডিয়াতে সংশয় প্রকাশ করা হচ্ছে। এর আগে নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা বলেন ট্রাম্প। পরে এ নিয়ে আর কোনো উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি।
ইয়েল ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক সানড্রা বেরন বলেন, মামলা করে ট্রাম্প অভিযোগকারীদের হেনস্তা করতে পারবেন না। টাইম সাময়িকীকে তিনি বলেন, আইনি পথে গেলে ট্রাম্পকে প্রমাণ করতে হবে, অভিযোগকারী নারীরা মিথ্যা বলছেন। এমন কাজ ট্রাম্পের পক্ষে সহজ হবে না।
ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ট্রাম্পের বক্তব্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন। ট্রাম্পের অভিযোগ নাকচ করেছেন তিনি। সংবাদকর্মীদের হিলারি বলেন, যৌন নিপীড়নের অভিযোগের পেছনে হিলারির শিবিরের ইন্ধন থাকার বিষয়টি সঠিক নয়। হিলারি বলেন, নির্বাচিত হলে ট্রাম্প অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হলে জনগণের জন্য কী করব, তা ব্যাখ্যা করতেই পেনসিলভানিয়ায় এসেছি।’ হিলারিও গতকাল সেখানে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহে বেশ কয়েকজন নারী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন। মার্কিন মিডিয়ায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়।