বৈষম্যবিরোধী মামলায় আসামি ধরতে আর অনুমতির প্রয়োজন নেই: চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল
হাইকোর্টের আদেশে হস্তক্ষেপ নয়, ১৫ মে চূড়ান্ত শুনানি; বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গ্রেপ্তার প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন

এবিএনএ: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর আসামিদের গ্রেপ্তারে আর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন নেই—এমন নির্দেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
বুধবার (৭ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ‘নো অর্ডার’ দিয়ে হাইকোর্টের পূর্বের রায়েই স্থির থাকেন। এর ফলে এই সংক্রান্ত মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে কোনো বাড়তি প্রশাসনিক অনুমতির দরকার হবে না। একইসঙ্গে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১৫ মে দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এর আগে ৯ এপ্রিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এক অফিস আদেশে জানিয়েছিল, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে করা মামলাগুলোতে আসামির সংখ্যা সাধারণত বেশি থাকে। তাই এমন মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে প্রমাণসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এই আদেশে অনুমতি ছাড়া গ্রেপ্তার নিষিদ্ধও করা হয়।
তবে এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ২৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন একটি রিট দায়ের করেন। তার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
জানা গেছে, আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া অনেক মামলায় অভিযোগপত্রে এমন অনেকের নাম রয়েছে যাদের সঙ্গে মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। কিছু ক্ষেত্রে বাদী নিজেই মামলার বিস্তারিত জানেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি আসামিদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়ের অভিযোগও সামনে এসেছে।
এই পরিস্থিতিতে ডিএমপি কর্তৃপক্ষ অনুমতি ছাড়া গ্রেপ্তার বন্ধের উদ্যোগ নেয়। তবে আদালতের রায়ে সেই নির্দেশনা কার্যকর থাকছে না, ফলে এখন বৈষম্যবিরোধী মামলায় আসামিদের সরাসরি গ্রেপ্তার করা যাবে।
Share this content: