এবিএনএ : ঈদ শব্দের অর্থ আনন্দ বা উদযাপন। তেমনি কোরবানির ঈদে অন্য সময়ের চেয়ে মাংস বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। যদিও অতিরিক্ত মাংস খাওয়া মোটেও ঠিক নয়; যা শারীরিক অস্বস্তি ও অসুস্থতার কারণ হতে পারে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন মাংস খেতে হবে পরিমাণমতো। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে অতিরিক্ত মাংস যদি খেয়েই ফেলেন, তবে কিছু কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।
আসুন জেনে নিই বেশি মাংস খাওয়ার পর কী করবেন-
লাল মাংস প্রচুর জিংকসমৃদ্ধ, যা আমাদের রক্তশূন্যতা পূরণ করে। তবে এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। লাল মাংসে (রেডমিট) প্রচুর পরিমাণে সাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল থাকে, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, গ্যাস্টিক ও কোলেস্টেরলের সমস্যা হতে পারে।
১. যেদিন মাংস একটু বেশি খাওয়া হবে, সেদিন অন্যদিনের চেয়ে একটু বেশি হাঁটুন। ২০-৩০ মিনিট হাঁটুন। এমনভাবে হাঁটতে হবে যেন গা থেকে ঘাম ঝরে। এতে বাড়তি ক্যালোরি পুড়িয়ে ফেলা সম্ভব হবে।
২. প্রতিদিন মাংস খাওয়া ঠিক নয়। প্রতিদিন মেন্যুতে মাংস বা মাংসজাতীয় খাবার না রাখাই শ্রেয়। ভর্তা, ভাজি, ডাল-ভাতের মতো সাধারণ খাবারই হবে সঠিক মেন্যু।
৩. মাংস বেশি খাওয়ার পর অস্বস্তি বোধ হলে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার পান করলে উপকার পাবেন। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ এসিভি মিশিয়ে পান করুন।
৪. খেতে পারেন পুদিনাপাতার চা। এক মুঠো পুদিনাপাতা কুঁচি করে গরমপানিতে মিশিয়ে পান করুন। স্বাদের জন্য এতে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
৫. মাংস খাওয়ার পর অস্বস্তি বোধ হলে লেবু, কমলালেবু ও মাল্টা ফল খেতে পারেন।
৬. হলুদ হল সবচেয়ে শক্তিশালী, যা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধর্ম সম্পন্ন একটি প্রাকৃতিক উপাদান। কুসুম গরমপানিতে হলুদ গুঁড়া, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।
৭. মাংস বেশি খেলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।