এবিএনএ : জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস করোনা মহামারিতে বিশ্বের ১০ লাখ মানুষের মৃত্যুকে একটি ‘যন্ত্রণাদায়ক মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে মৃত্যুসংখ্যা ১০ লাখ পেরিয়ে গেছে এবং সংক্রমণের সংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এ থেকে সুস্থ হয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ। আজ মঙ্গলবার ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্ব এক বেদনাদায়ক মাইলফলক পৌঁছেছে। এ মহামারিতে ১০ লাখ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এটি মনকে যন্ত্রণা দেওয়ার মতো একটি সংখ্যা। আমাদের অবশ্যই প্রত্যেক জীবনের দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। তাঁরা আমাদের বাবা, মা, স্ত্রী, স্বামী, ভাই, বোন, বন্ধু বা সহকর্মী কেউ ছিলেন। এই রোগের ক্ষয়ক্ষতি সে ব্যথা আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।’
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।করোনায় বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় মোট মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা সম্প্রতি ২ লাখ ছাড়ায়। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ৭১ লাখের বেশি।
‘ব্যাংকক পোস্ট’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর ম্যালেরিয়ায় যে পরিমাণ মানুষ মারা যায় এ বছর করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা তার দ্বিগুণ। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কয়েকটি দেশে মৃত্যু ও সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে।রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লাখ থেকে ১০ লাখে পৌঁছাতে মাত্র তিন মাস লেগেছে। এ বছরের জানুয়ারিতে চীনে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করা হয়। প্রতি ২৪ ঘণ্টার বিশ্বে ৫ হাজার ৪০০ জনের বেশি মারা যাচ্ছেন। এ হিসাবে প্রতি ঘণ্টায় ২২৬ জন ও প্রতি ১৬ সেকেন্ডে একজন মারা যাচ্ছেন। অনেক বিশেষজ্ঞ প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সন্দিহান। কারণ অনেক দেশ যথেষ্ট পরীক্ষা না করায় প্রকৃত সংক্রমণ বা মৃত্যুর চিত্র পাওয়া যায় না।