জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

সংসদে বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী

এবিএনএ : জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় সংসদে বাজেট উত্থাপন শুরু করেন তিনি। দেশের ৪৬তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭তম এবং অর্থমন্ত্রীর ১১তম বাজেট প্রস্তাব এটি।
বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০০৯-১০ অর্থ বছরে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকার বাজেট দিয়ে শুরু করেন মুহিত। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট ব্যয় ধরা হয়েছে। বিনিয়োগ বাড়িয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে নতুন বাজেটে বেশি ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য বিশাল এই বাজেটে  ঘাটতি ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। যা টাকার অংকে ১ লাখ ১২ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা।
রাজস্ব আহরণ, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ব্যয়সহ বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহারের উচ্চাভিলাসী লক্ষ্য থাকছে। এ বছর ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে বলে সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে। আসছে বাজেটে এটি বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। বাজেটে রাজস্ব আদায়েরও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য থাকছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আয়-ব্যয়ের ব্যবধান ঘোচাতে বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস্য থেকে ৭৪ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৪৮ হাজার ৯৬ কোটি টাকা আসবে ব্যাংকিং খাত থেকে। এর বাইরে বিদেশি উৎস্য থেকে ঋণ নেয়া হবে ৫৪ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। ইআরডির এক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, স্বাধীনতার পর থেকেই প্রতিবার বিদেশি সহায়তা ছাড় হচ্ছে প্রতিশ্রুতির প্রায় অর্ধেক। প্রচলিত এ ধারার বিপরীতে আগামী অর্থ বছর প্রতিশ্রুতির চাইতে বেশি অর্থ ছাড় করাতে চাইছে ইআরডি।
এবার উন্নয়ন বাজেটের মোট আকার ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। এরমধ্যে সবচেয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগে ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এরপরই বরাদ্দ পেয়েছে বেশি শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ। স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
প্রস্তাবিত অনুন্নয়ন বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সরকারের সুদ পরিশোধে, ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এরপরই বরাদ্দ পেয়েছে বেশি শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ।

Share this content:

Related Articles

Back to top button