লাইফ স্টাইল

রোগ প্রতিরোধে চাই যৌনতা!

এবিএনএ : বংশবৃদ্ধির জন্য একাধিক উপায় রয়েছে। যৌনতা ছাড়াও ক্লোনিংয়ের মাধ্যমেও বংশবৃদ্ধি করা সম্ভব।

তাহলে যৌনতার কী প্রয়োজন সম্প্রতি এ প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছেন গবেষকরা। তারা জানিয়েছেন, যৌনতার মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করা হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর এ বিষয়টি সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, বিবর্তনের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, যৌনতার ফলে উৎপন্ন নতুন প্রজাতি রোগ প্রতিরোধের জন্য বাড়তি সক্ষমতা অর্জন করে।

যৌনতার ফলে দুটি প্রাণীর মিলন ঘটে। যদিও এতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সঠিকভাবে বংশবৃদ্ধি হয় না। যেমন ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর মাঝে যৌনতার ফলে যদি শিশু জন্মগ্রহণ করে তাহলে তার বংশবৃদ্ধি হয় না। এছাড়া রয়েছে কিছু প্রাণী যেমন, স্টারফিশ, কলাগাছ ও কিছু পাখি , যারা যৌনতা ছাড়াই বংশবৃদ্ধি করতে পারে। কিন্তু এ বিষয়গুলোকে ব্যতিক্রম হিসেবেই বলছেন গবেষকরা।

এছাড়া কিছু প্রাণী রয়েছে যারা যৌনতার মাধ্যমেও বংশবৃদ্ধি করতে পারে আবার নিজে একাও বংশবৃদ্ধি করতে পারে (যেমন কমোডো ড্রাগন)।

যৌনতাহীন বংশবৃদ্ধি দ্রুত ও কম ঝামেলার হয়ে থাকে। তবে যৌনতার কী প্রয়োজন?

এ প্রসঙ্গে গবেষকরা বলছেন, যৌনতার মাধ্যমে দুটি প্রাণীর মিলন হওয়ায় তাতে তাদের উভয়েরই নানা বিষয় একত্রিত হয়। ফলে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে নানা ধরনের অভিজ্ঞতা জিনের মাধ্যমে চলে যায়। এতে প্রাণীটির টিকে থাকা সহজ হয়।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব স্টারলিং ইন স্কটল্যান্ডের গবেষক স্টুয়ার্ট অল্ড বলেন, ‘বিবর্তন বায়োলজিতে এ প্রশ্নটি অত্যন্ত পুরনো যে, যৌনতার প্রয়োজনীয়তা কী?’

জেনেটিক বিভিন্নতার জন্য যৌনতার মাধ্যমে বংশবৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটি পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে যে কোনো প্রাণীকে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করে। আর এর মাধ্যমে যে শিশুর জন্ম হয় তা রোগ প্রতিরোধে বাড়তি ক্ষমতা অর্জন করে। এ কারণেই বিবর্তনের ধারায় যৌনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন গবেষকরা।

সাম্প্রতিক এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ রয়াল সোসাইটি বি. জার্নালে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button