আমেরিকা

যৌন কেলেঙ্কারি: আলাদা হচ্ছেন হুমা আবেদিন

এ বি এন এ : স্বামীর বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনেছেন হুমা আবেদিন। এ জন্য তিনি স্বামী অ্যান্থনি ওয়েইনারের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সহযোগী হলেন হুমা আবেদিন। তার স্বামী সাবেক কংগ্রেসম্যান অ্যান্থনি ওয়েইনার। তিনি নিউ ইয়র্কে মেয়র পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন দু’বার। তাকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিল ডি ব্লাসিও। কিন্তু ঘরে স্ত্রী, সন্তান থাকতেও তিনি অন্য নারীতে আসক্ত হয়ে পড়েছেন। ওই নারীকে অনলাইনে অশ্লীল ছবি পাঠিয়েছেন। রগরগে ভাষায় পাঠিয়েছেন এসএমএস। এসব জেনে ভীষণ ক্ষেপেছেন হুমা আবেদিন। উল্লেখ্য, অ্যান্থনি ডেভিড ওয়েইনার ডেমোক্রেট দলের সদস্য। তিনি সাবেক কংগ্রেসম্যান। নির্বাচিত হয়েছিলেন সাতবার। কোন বারই তিনি শতকরা ৫৯ ভাগের কম ভোট পান নি। কিন্তু তার বেশ কিছু যৌন কেলেংকারির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ২০১১ সালের জুনে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন। তার সঙ্গে ২০১০ সালে বিয়ে হয় হুমা আবেদিনের। স্বামীর যৌন কেলেঙ্কারির কথা জানলেও তিনি তার সঙ্গে ঘর সংসার করছেন ৬ বছর ধরে। ২০১১ ও ২০১৩ সালে দু’বার তার পরকীয়ার কথা জেনে যান হুমা। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি তার পাশে ছিলেন। এখন আর পারছেন না ভার নিতে। তাই তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিবাহিত জীবন নিয়ে দীর্ঘ সময় বেদনাময় সময় কাটিয়েছি। এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার। আমাদের ছেলের যাতে ভাল হয় তার জন্য আত্মনিয়োগ করেছিলাম আমি ও অ্যান্থনি। ওই ছেলেটিই আমাদের জীবনের আলো। তাই এই কঠিন সময়গুলোতে আমরা গোপনীয়তার প্রতি সম্মান দেখিয়েছি। নিউ ইয়র্ক পোস্টে আরেকটি কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, অ্যান্থনি ওয়েইনার এ মাসের দিকেই বেশ কিছু বার্তা ও ছবি পাঠিয়েছেন এক নারীকে। তার মধ্যে রয়েছে বিছানায় তার ছেলে ঘুমানো অবস্থায় নিজের আপত্তিকর ছবি। ওই বার্তার গ্রহীতাকে তিনি একজন ‘ফ্যান্টাস্টিক চিক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এতে ওই নারী তাকে বলেন যে, যৌন আসক্তি তার জন্য একটি রোগ। জবাবে অ্যান্থনি বলেন, এর বাহকতো তিনিই।
ওদিকে দীর্ঘদিন হিলারি ক্লিনটনের হয়ে কাজ করছেন হুমা আবেদিন। অ্যান্থনি ওয়েইনারের সঙ্গে তার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। ফলে এ দম্পতি যুক্তরাষ্ট্রের খুব উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিক। যখন ২০১৩ সালে ওয়েইনারের যৌন কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশিত হলো তখন স্বামীর পক্ষ নিলেন হুমা। তিনি তখন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, স্বামীকে ভালবাসেন তিনি। তার পাশেই থাকবেন। কিন্তু ওয়েইনারের নিজের কেলেঙ্কারির কারণে তাদের সেই দাম্পত্যে কখনও ভাল, কখনও খারাপ এ অবস্থায় চলতে থাকে। অবশেষে হুমা সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন। তার সিদ্ধান্ত নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় তাকে স্বাগত জানিয়েছেন রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, হুমা আবেদিন একটি ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, আমি অ্যান্থনি ওয়েইনারকে ভালভাবে চিনি। তাকে ছাড়া হুমা অনেক বেশি ভাল থাকবেন।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button