লাইফ স্টাইল

যেসব খাবারে দৈহিক শক্তি কমে

এবিএনএ : বর্তমান সময়ে অনেক পুরুষই মিলনের আকাঙ্ক্ষা কম হওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই সমস্যার পিছনে খাদ্যাভাস মারাত্মক প্রভাব ফেলে থাকে।

এক গবেষণায় দেখা যায়, খাদ্যাভাস আপনার লিবিডোতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যখন বয়স বাড়তে থাকে তখন এই ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই যেসব খাবার আপনার দৈহিক শক্তি কমিয়ে দেয় বা এই ক্ষমতা নষ্ট করে সেগুলো খাবারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়াই ভালো। জেনে নিন কোন সেই খাবারগুলো-

মদ: একটু মদ পান আপনার মিলনের আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে অতিরিক্ত মদ খেলে তার পরিণাম কিন্তু সাংঘাতিক। কারণ অতিরিক্ত অ্যালকোহল দৈহিক শক্তিতে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ইরেক্টাইল সমস্যাসহ, ঠিকভাবে অর্গাজম না হওয়া এবং মিলনের শুরুতেই দ্রুত দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে অতিরিক্ত মদ পান করা। আর তাছাড়া অ্যালকোহল আর রিচ ফুড সবসময় আপনাকে তন্দ্রাচ্ছন্ন করে রাখে, ফলে আপনি মিলনের ব্যাপারে আর উৎসাহ বোধ করেন না।

সয়া: সয়াবিন থেকে তৈরি বেশিরভাগ পণ্যই সাইটোয়েস্ট্রোজেন নামে একটি রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এটি পুরুষ ও নারীর দেহে হরমোনের ভারসাম্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী যারা সয়া পণ্য ভোগ করে তাদের মধ্যে মিলনের আগ্রহ কম। তাই যেসব পুরুষ সন্তান গ্রহণের কথা ভাবছেন তারা খাদ্য তালিকা থেকে সয়া একদম বাদ দিয়ে দিন। কারণ সয়া শুক্রাণুর পরিমাণও কমিয়ে দেয়।

পুদিনা পাতা: সুগন্ধির জন্য পুদিনা পাতা অনেক বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু এটি মোটেও ভালো নয়। এটি শরীরিক উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী হরমোন টেসটোসটের মাত্রা কমিয়ে দেয় যা শরীরকে ঠাণ্ডা করে দেয় এবং আগ্রহ কমিয়ে দেয়। তাই সুগন্ধির জন্য পুদিনা বাদ দিয়ে আদা খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। আদা অনেক ভালো।

কফি : কফি আপনার শরীরিক সম্পর্কের ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার মুড কার্যকর রাখে। তবে অতিমাত্রায় কফি খেলে হতে পারে বিপত্তি! এটি মূত্রথলির ক্ষতি করে এবং যৌন ও থাইরয়েড হরমোন ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে।

পনির : গরুর দুধ থেকে তৈরি পনির এখন সুপার মার্কেটে খুবই সহজলভ্য। পনির ছাড়া অনেকের নাশতাই যেন জমে না। পনিরকে হরমোন ও অ্যান্টিবডি তৈরির কৃত্রিম উৎসও মনে করা হয়। তবে বেশি মাত্রায় পনির খেলে শরীরে এস্ট্রোজেন-জাতীয় পদার্থের নিঃসরণ হয়, যা মানুষের যৌন আকর্ষণ কমিয়ে দেয়। এমনকি এর প্রভাবে দৈহিক শক্তি লোপ পেতেও পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button