এবিএনএ: ফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দেশজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে তিনলাখ নিরাপত্তা কর্মী ও এক লাখ পর্যবেক্ষক।
২০১৪ সালে আফগানিস্তানে সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ঐ নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফ গনি ও আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর কেউই পরিষ্কার বিজয় লাভ করতে পারেননি। দুইজনই পরস্পরের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলতে থাকলে অচলাবস্থা তৈরি হয়। দুই মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আশরাফ গনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন আর আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ নবগঠিত প্রধান নির্বাহীর পদ হিসেবে দায়িত্ব নেন।
বুধবার রাতে শেষ হয়েছে ২৮ দিনের নির্বাচনী প্রচারণা। শনিবার দেশটির স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটগহণ শুরু হবে। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হতে গেলে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট প্রয়োজন হবে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, এবারের নির্বাচনে প্রার্থী ১৮ জন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি , গুলবুদ্দিন হেকমাতিয়ার আর আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর মধ্যে।
আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের পর পেরিয়ে গেছে ১৮ বছর। তালেবানের সাথে দফায় দফায় শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর দেশটিতেই নিত্যদিনই চলছে বোমা হামলা। তাই এবারের নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জপূর্ণ মনে করছেন অনেকেই। শনিবারের ভোট গ্রহণে ৯৭ লাখ আফগানের ভোট দেওয়ার কথা, যাদের মধ্যে ৩৩ লাখ নারী। ১৯ অক্টোবর নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে। সেখানে বিজয়ী ১৫ জন প্রার্থীকে নিয়ে পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে। ৭ নভেম্বর দেওয়া হবে চূড়ান্ত ঘোষণা।