এবিএনএ : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘ভারত থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে। এতে কম মূল্যে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে এবং উৎপাদনে বড় ধরনের খরচ প্রয়োজন হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে ভারত থেকে আরো দুইহাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার প্রস্তুতি চলছে।’
আজ রবিবার দুপুরে সিলেট নগরীতে ‘টেকসই জ্বালানি প্রসারে গ্রিন ব্যাংকিং এর ভূমিকা’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
জার্মান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জিআইজেড), বাংলাদেশ সরকারের সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি (স্রেডা) এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘সরকার মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছে। পটুয়াখালিসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। মানুষের চাহিদা মেটাতে বিদ্যুত উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে। বিদেশ থেকে কম মূল্যে বিদ্যুৎ আমদানিও করছে সরকার।’
‘ভুটান ও নেপালের ৪০ হাজার মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে’ এ কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ দুটো দেশ প্রতি ইউনিট মাত্র দু‘টাকা মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে এবং দেশ দু’টি ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে সক্ষম। তাই তারা ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে গেছে। আরো দশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারলে খুব সহজেই উন্নত দেশে পরিণত হবে।’
এ দেশ দুটো থেকে বিদ্যুৎ আনার চেষ্টা চলছে এ কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভূটান ও নেপাল সরকার ইতিমধ্যে সম্মত হয়েছে। তাদের সেখানে ইনভেস্ট করে বিদ্যুৎ নিয়ে আসার চিন্তাভাবনা চলছে।