এবিএনএ : আমরা অনেকেই ঘুমাতে যাওয়ার সময় বিবস্ত্র হয়ে বিছানায় যাই। এমন অভ্যাস থাকতেই পারে। যেহেতু এতোদিন বলা হয়েছিলো, সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে ঘুমালে শরীরের উপকার হয়। সারা দিন শরীর আবৃত থাকে, তাই বিবস্ত্র অবস্থায় ত্বকের ছিদ্রগুলো স্বাভবিক কাজ করতে পারে। এতে শরীরও ঠান্ডা হয়।
কিন্তু সেই গবেষণাকেই এখন আবার ভুল প্রমাণিত করছেন গবেষকরা। তারা এখন বিবস্ত্র হয়ে ঘুমাতে নিষেধ করছেন। জানাচ্ছেন বিভিন্ন রকম ক্ষতির কথা। সম্প্রতি এক রিপোর্ট অনুযায়ী গবেষকরা বলছেন, সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে না ঘুমানোই ভালো।
সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে ঘুমালে মূলত যে ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে—
• বিবস্ত্র হয়ে ঘুমাচ্ছেন, এমন সময় যদি বাড়িতে চোর প্রবেশ করে। টের পেলে কী করবেন? নগ্ন অবস্থায় তো আর তাকে তাড়াতে যেতে পারবেন না!
• অনেক রাতে প্রতিবেশী এসে দরজায় নক করলে, ঘুমের ঘোরে বিবস্ত্র অবস্থায় দরজা খুলবেন কী করে? তাতে তো অঘটনের সম্ভাবনা রয়েছে।
• রাতে আপনার পানি পিপাসা লাগলো বা কোনো কারণে ক্ষুধা পেল, তখন আবার জামা-কাপড় পরেই কেবল রুম থেকে বের হতে পারবেন।
• আপনার ত্বকের সঙ্গে মোটা কাপড়ের বিছানার চাদরের ঘঁষা লাগলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তার চেয়ে নরম নাইট-স্যুট পরে ঘুমানোই ভালো।
• আমরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও ঘামতে থাকি। তাই হালকা কাপড়ের নাইট-ড্রেস পরলে সেই ঘাম শরীরে বসে না। কাপড়ই শুষে নিতে পারে।
• আমাদের অনেকেরই ঘুমের ঘোরে মৃত্যু হতে পারে। বিবস্ত্র অবস্থায় কারো মৃত্যু হলে পরিবারের লোকজন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে পারে বা ভুল ধারণা পোষণ করতে পারে।
• দাম্পত্য জীবনে বিবস্ত্র হয়ে ঘুমালে স্বামী-স্ত্রীর উভয়ের প্রতি আকর্ষণ কমে যেতে পারে। গোপনীয় বিষয়ের প্রতি আকর্ষণ রেখে দেওয়াই ভালো।
• ঘরের মধ্যে হঠাৎ ভূমিকম্প বা অগ্নিকাণ্ডের মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে কাপড় পরার সময় না-ও থাকতে পারে। ফলে এমন অবস্থায় জনসমক্ষে এলে লজ্জা পেতে হবে।