
এবিএনএ : বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা বিশ্বমানবতার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, ১৯৯৮ সালে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন শেখ হাসিনা। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নাগরিক না হলেও তাদের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী তৎপরতা চালাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থল সীমানাসংক্রান্ত জটিলতা নিরসন এবং ছিটমহল সমস্যার সমাধান করে প্রধানমন্ত্রী ওই এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন বলেও উল্লেখ করেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী।
নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী জনমত সৃষ্টি করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তার কার্যকর পদক্ষেপে বিশ্ববিবেক ইতিমধ্যে জাগ্রত হয়েছে। মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন, যা বিশ্বের সর্বস্তরে প্রশংসিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশ বা বাঙালি জাতির নেতা নন, তিনি বিশ্বনেতা হিসেবে ইতিমধ্যে স্বীকৃতি লাভ করেছেন।’ শেখ হাসিনাকে একজন মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন উৎকৃষ্টতম নেতা বলে বর্ণনা করেন মন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ শিকদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
Share this content: