লাইফ স্টাইল

বাচ্চার ব্রেন পাওয়ার বাড়াবেন যেভাবে

এবিএনএ : মা-বাবা হিসাবে আপনি তো নিশ্চয় চান যে পড়াশোনায় আপনার বাচ্চা দারুন কিছু করুক। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কেমনভাবে আপনার বাচ্চা সেই লক্ষে পৌঁছাবে, তা নিয়ে কিন্তু আপনি কখনও ভাবেন না। শুধু ভাবেন, দিনের বেশিরভাগ সময় বইয়ের সামনে বসিয়ে রাখলেই সন্তান ভাল রেজাল্ট করবেন। আসলে কিন্তু এভাবে কোনো লক্ষেই পৌঁছানো সম্ভব নয়। কারণ যতক্ষণ না বাচ্চার মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, ততক্ষণ সে কিন্তু এভারেজ হিসাবেই থেকে যাবে। তাহেল উপায়?

এই প্রবন্ধে এমন একটি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা ব্রেণ পাওয়ার বাড়াতে দারুন কাজে আসে। ছোট বেলা থেকেই বাচ্চার মস্তিষ্কের খেয়াল রাখাটা প্রতিটি বাবা-মার প্রথম কর্তব্য। তাইতো আজ থেকেই এই ঘরোয়া পদ্ধতিটিকে কাজে লাগিয়ে শুরু করে দিন বাচ্চার ব্রেণের শক্তি বাড়ানোর প্রক্রিয়া।

যে যে উপকরণগুলি লাগবে:
১. ডিমের কুসুম- ২ চামচ
২. ওটমিল- ৪ চামচ
৩. ডার্ক চকোলেট পাউডার- ১ চামচ

ব্রেণ পাওয়ার বাড়াতে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি দারুন কাজে আসে। তবে প্রতিদিন খেতে হবে এই ওষুধটি। তাহলেই কিন্তু ভাল কাজ দেবে। প্রসঙ্গত, ৩ বছরের কম বাচ্চাদের এই খাবারটি খাওয়াবেন না। ডিমের কুসুমে ভিটামিন-ই, মিনারেলস সহ এমন অনেক উপাদান থাকে, যা ব্রেণসেলগুলিকে পুষ্টি প্রদান করে। ফলে বৃদ্ধি পায় সার্বিক মস্তিষ্কের ক্ষমতা।

আপরদিকে, ওটমিলে রয়েছে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বাচ্চার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সেই সঙ্গে ব্রেন সেলগুলির ক্ষমতাও বাড়ায়। আর ডার্ক চকোলেট কী কাজে আসে? এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা মস্তিষ্কের পাশাপাশি শরীরকেও চাঙ্গা রাখে। শুধু তাই নয়, খাবারটিকে সুস্বাদু করতেও ডার্ক চকোলেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

যেভাবে বানাবেন এই ঘরোয়া ওষুধটি-
১। পরিমাণ মতো ওটস নিয়ে গরম পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। যখন দেখবেন ওটসটা নরম হয়ে গেছে তখন জল থেকে তুলে নিন।
২। এবার ডিমের কুসুম এবং ডার্ক চকোলেটটা ওটসের সঙ্গে মেলান। ভাল করে মেশান উপকরণগুলি।
৩। টানা ৩ মাস ব্রেকফাস্টের সঙ্গে বাচ্চাকে এই খাবারটি খাওয়ালে দারুন ফল পাবেন।

Share this content:

Related Articles

Back to top button