পবিত্র রমজান মাসে স্তন্যদানকারী মায়েদের করণীয়

এবিএনএ : পবিত্র রমজান মাসে স্তন্যদানকারী মায়েদের সন্তানের পাশাপাশি নিজেদের প্রতিও যত্নবান থাকতে হয়। তা না হলে পরবর্তীতে উভয়ের স্বাস্থ্যের উপরই মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে রোজা রেখে দুজনের স্বাস্থ্যক্ষতি এড়াতে কিছু টিপস মেনে চলুন। এতে মা ও শিশুর শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি সুস্থতাও নিশ্চিত হবে।
প্রচুর পানি পান করুন
দেহের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটাতে প্রচুর পরিমাণে পানি পানের বিকল্প নেই। আবার বুকের দুধ উৎপাদনেও পানির চাহিদা অপরিসীম। কাজেই সুস্থতায় রমজানেও স্তন্যদানকারী মায়েদের পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। এজন্য ইফতারের পর থেকেই অল্প অল্প করে পানি পান করুন। চাইলে ফলের রসও পান করতে পারেন।
চা/কফি পান করবেন না
রোজা রাখার আগে চা কিংবা কফি পান করবেন না। এগুলো শরীরকে আরও বেশি পানি শূণ্য করে ফেলে। একান্তই যদি পান করতে হয় তাহলে হালকা লিকারের রঙ চা পান করুন।
ফলমূল সমৃদ্ধ হালকা খাবার খান
স্তন্যদানকারী মায়েদের ইফতারটাও হবে সকলের চেয়ে আলাদা। তিনি একেবারেই ভাজা পোড়া বা মসলাযুক্ত খাবার খাবেন না। বরং ইফতারে ফলমূল সমৃদ্ধ হালকা খাবার খান। এছাড়া সাহরীতে পরিমিত ভাত, মাছ/মাংস, ডাল ও সবজি প্রভৃতি খান। এসব খাবারে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি সন্তানের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
সাহরী করবেন ভুলবেন না
অনেক স্তন্যদানকারী মায়েরা ইফতারের পর রাতের খাবার খান না। এটা ঠিক নয়। এতে তাদের দুজনের স্বাস্থের মারাত্মক ক্ষতি হয়। স্তন্যদানকারী নারীদের অবশ্যই ২৪ ঘণ্টায় ৩ বেলা সুষম আহার করতে হয়। তাই ইফতার বা সেহেরি কোনমতেই বাদ দিলে চলবে না। পরিমাণে অল্প হলে সুষম আহার গ্রহণ করবেন যেন শরীর পর্যাপ্ত ক্যালোরি পায়।
দুধ পান করুন
রমজানে সুস্থতায় স্তন্যদানকারী মায়েদের দৈনিক এক গ্লাস দুধ পান করা উচিত।
বুকের দুধ বৃদ্ধিতে খাবার খান
স্তন্যদানকারী মায়েদের অবশ্যই এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত যা তাঁর বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। যেমন- লাউ, কালিজিরা, পান, তাজা ফল ইত্যাদি। তবে এ সময় টক কোন ফল না খাওয়াই ভালো।
পর্যাপ্ত ঘুমান
স্তন্যদানকারী মায়েদের সুস্থতার আরেকটি চাবিকাঠি হলো পর্যাপ্ত ঘুমান। রমজানে ইবাদত ও সন্তান পালন, এই দুই মিলিয়ে মায়েদের ঘুমের অনেক সমস্যা হয়। কাজেই এ সময় সুস্থতা নিশ্চিত করতে কাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
Share this content: