নিউইয়র্কে গাঙচিলের ৭৩তম আসর

এবিএনএ : নিউইয়র্কের গাঙচিল সাহিত্য ও সংস্কৃতির ৭৩তম আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় গত রোববার জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজায় এ আসরের আয়োজন করা হয়। এতে প্রদর্শিত হয়েছে ঐতিহাসিক নাটক ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’।
আসরের শুরুতেই বাংলাদেশের শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের পর স্বাগত বক্তব্য দেন গাঙচিলের প্রতিষ্ঠাতা খান শওকত। তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ। নিউইয়র্কে ২০০৮ সালে এ সংগঠনের শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বছর নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তাদেরই উদ্যোগে এ অগ্নিঝরা মার্চের আসর।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি নিখিল কুমার রায়। পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মৌসুমী রহমান। উপস্থাপনা করেন পরিচালক এলিজা বেগম। তাঁদের সহযোগিতা করেন খান শওকত, রোকসানা বেগম, হেলেন পারভীন ও শাহাদত হোসেন। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল কবিতা পাঠের আসর। পর্বটি পরিচালনা করেন সংগঠনের উপদেষ্টা এ বি এম সালেহ উদ্দিন। কবিতা পাঠ করেন শামীম আরা আফিয়া, ছন্দা বিনতে সুলতানা, মমতাজ বেগম, শিবলী সাদিক, সোলতানা খানম, সৈয়দ জুনেদ আহমেদ, স্বপন বসু, ইফ্ফাদ জাহান চারু ও ফারজিন রাখিব। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু’ কবিতাটির সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন কাব্য।
পরে পরিবেশিত হয় ‘নবাব সিরাজউদ্দেলা’। নবাব চরিত্রে খান শওকত এবং লুৎফা বেগম চরিত্রে সুলতানা খানমের অভিনয় সবাইকে মুগ্ধ করে। নাটকটির নেপথ্যে সহযোগিতা করেন প্রদীপ মালাকার ও শামীম আরা আফিয়া। নিউজার্সিপ্রবাসী কলকাতার জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী নিশা রায় নাচ পরিবেশন করেন। আবৃত্তি পর্বে অংশগ্রহণ করেন ফরিদুর রেজা।
প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যকার মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন হোসেন। এরপর বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাতেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবর রিচি, কলামিস্ট প্রদীপ মালাকার এবং ঢাকা থেকে আগত গাঙচিল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কবি হাসমত আলী। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুষ্পমাল্য প্রদান এবং গাঙচিলের আজীবন সদস্যপদ প্রদান করা হয়। এই পর্বে সম্মাননা গ্রহণ করেন ইসমাইল খান আনসারী, ড. আবদুল বাতেন, শওকত আকবর, প্রদীপ মালাকার, খুরশিদ আনোয়ার বাবলু, রাশেদ আহমেদ, সুব্রত বিশ্বাস, আবুল কাশেম ও নিখিল কুমার রায়। এরপর শুরু হয় সংগীতানুষ্ঠান। এই পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন ইমদাদুল হক (সুর ও ছন্দ শিল্পীগোষ্ঠী), জুয়েল বৈদ্য, হারুন খান, ডাক্তার নার্গিস রহমান, সেলিম ইব্রাহীম, রুবিনা শিল্পী, কানিজ আয়েশা, মমতাজ বেগম আলো, শামীম আরা আফিয়া, সুলতানা খানম, শ্রাবণী সরকার ও মৌসুমী রহমান। বাঁশি ও গিটার পরিবেশন করেন ওস্তাদ হারুন খান এবং তবলা সংযোগ করেন জুয়েল বৈদ্য। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্বে দায়িত্ব পালন করেন গাঙচিল কমিটির ডাক্তার নার্গিস রহমান, রোকসানা বেগম, হেলেন পারভীন, আলী হোসেন, চিত্রশিল্পী প্রবীর গুন, ফারজিন রাকিবা, কানিজ আয়েশা, শাহানাজ বেগম, কোহিনুর বেগম, জীবন চৌধুরী, স্বপন বসু, মোহাম্মদ আখতার হাসেন, প্রদীপ মালাকার, মো. শাহাদত হোসেন ও আবুল কাশেম সরকার।
Share this content: