,
প্রচ্ছদ | জাতীয় | আন্তর্জাতিক | অর্থনীতি | আমেরিকা | লাইফ স্টাইল | ভিডিও নিউজ | ফিচার | আমেরিকা | বিনোদন | রাজনীতি | খেলাধুলা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | শিক্ষা

ধর্মীয় বিভাজন নয় উন্নয়নের পথে হাঁটল দিল্লি

এবিএনএ : ধর্ম না উন্নয়ন? এই প্রশ্নে দ্বিতীয় বিকল্পকেই বেছে নিল দিল্লির জনগণ। তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আসন কিছুটা কমলেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসছে আম আদমি পার্টি (আপ)। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আপ দিল্লি বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৩টিতেই জিতেছে বা এগিয়ে আছে – অন্যদিকে বিজেপির আসন গতবারের মাত্র তিনটির চেয়ে সামান্যই বাড়ছে।

বিজেপির আসন বাড়লেও এবার ধর্মীয় মেরুকরণ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি), জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (এনপিআর)-এর ধাক্কায় এবারও দিল্লির মসনদ অধরাই থেকে গেল বিজেপির কাছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দিল্লিতে এবারের নির্বাচনকে বিজেপি যেভাবে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল সেই চেষ্টা সফল হয়নি – শহরের ভোটাররা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ বা উন্নয়নের কর্মসূচীকেই শেষ পর্যন্ত বেছে নিয়েছেন। কিন্তু কেন দিল্লিতে বিজেপির এই ভরাডুবি? আপের এই বিপুল সাফল্য ভারতের রাজনীতিতেই বা কী তাৎপর্য বহন করছে?

বস্তুত মাত্র আট-নমাস আগের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে সাতটিই গিয়েছিল বিজেপির দখলে। প্রথম বার ৪৫ দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে কেজরিওয়াল কার্যত বোকামি করেছিলেন বলে অনেকেই কটাক্ষ করেছিলেন। কিন্তু সেটা যে লম্বা দৌড়ের প্রস্তুতি ছিল, তা বোঝা গিয়েছে গত পাঁচ বছরে কেজরিওয়ালের উন্নয়নের রাজনীতিতে। গত পাঁচ বছরে সাধারণ মানুষের জন্য অনেক উন্নয়নমুখী প্রকল্প তৈরি এবং তার বাস্তব রূপায়ণের উপরেই আস্থা রেখেছেন দিল্লিবাসী।

আপের উন্নয়ন প্রকল্পগুলি কেমন? ২০১৫ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে কেজরিওয়াল যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার প্রায় সবগুলো বাস্তবায়িত করে দেখানোর রাজনীতিতে কেজরিওয়ালের বিশ্বাসযোগ্যতা বেড়েছে। দিল্লিবাসীর জন্য ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল মওকুফ করেছে আপ সরকার। মহিলাদের জন্য সরকারি বাসে বিনামূল্যে সফর এবং তাদের নিরাপত্তায় বাসে মার্শাল নিয়োগ করা, বিনা পয়সায় প্রতিদিন ৭০০ লিটার পর্যন্ত পানি দেয়ার মতো প্রকল্প বাস্তবে করে দেখিয়েছে দিল্লির সরকার।

নতুন অনেক স্কুল তৈরি হয়েছে, পুরনো স্কুলগুলো সংস্কার করে আধুনিক রূপ দেয়া হয়েছে। আদতে এসব উন্নয়ন সাধারণ মানুষের জন্য জনমুখী প্রকল্প হলেও এটাই ছিল কেজরিওয়ালের সুকৌশলী রাজনৈতিক কৌশল। ভোটের প্রচারেও এই উন্নয়ন মডেলকেই হাতিয়ার করেছিলেন তিনি।

বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণের উস্কানিতে পা না দিয়ে প্রচার করে গিয়েছেন শুধু নিজের সরকারের এই সব জনমুখী প্রকল্পের সাফল্য। শাহিনবাগের আঁচ কার্যত গায়ে মাখেননি, জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় সেভাবে মুখ খোলেননি। দিল্লিবাসীকে বোঝাতে পেরেছেন, জাত-পাত, ধর্মীয় বিভেদ নয়, উন্নয়নই তার পাখির চোখ। রাস্তা আটকে শাহিনবাগ দিল্লিবাসীকে যে অসুবিধায় ফেলছে, সেটাকে কাজে লাগিয়ে হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের অনেক চেষ্টাও করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথসহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা। শাহিনবাগ যে ওখলা কেন্দ্রে অবস্থিত, সেখানে থেকে রেকর্ড ব্যবধানে জেতা আপের আমানাতুল্লা খান বলছেন, ‘এই ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা আজ হেরে গেছে, জিতেছে উন্নয়ন।’

Share this content:

Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali
Managing Editor : Khondoker Niaz Ikbal
Executive Editor : Mehedi Hasan
E-mail : abnanewsali@gmail.com
Usa Office: 2817 Fairmount, Avenue Atlantic city-08401,NJ, USA. Bangladesh Office : 15/9 Guptopara,Shemulbag, 2 nd floor,GS Tola, Teguriha, South Keraniganj, Dhaka. Usa. Phone: +16094649559, Cell:+8801978-102344, +8801715-864295
Server mannarged BY PopularServer
Design & Developed BY PopularITLimited