এবিএনএ : বড় ধরনের প্ররোচনা আছে, এই আশঙ্কা থেকেই মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা নেয় পুলিশ। মোসারাতের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পুলিশ স্বপ্রণোদিত ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করেছে। বৃহস্পতিবার পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ভাড়া বাসা থেকে মোসারাতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ এসে তাঁকে নামায় ও বিছানায় শুইয়ে দেয়। বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে বলে মোসারাত তাঁর পরিবারকে জানিয়েছিলেন। এই ঘটনায় ওই রাতেই মোসারাতের বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা করেন।
আত্মহত্যায় প্ররোচনার কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে কি না, জানতে চাইলে সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, তাঁরা ২০২০–২১ সাল পর্যন্ত লেখা ডায়েরি উদ্ধার করেছেন। ওই ডায়েরিতে ধারাবাহিকভাবে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত লিখেছেন মোসারাত। একটি পৃষ্ঠায় তিনি বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন বলে লিখেছেন। কিন্তু তাতে কোনো তারিখ ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, এটা তিনি লিখেছেন ২৬ এপ্রিল এবং এতে আত্মহত্যার ইঙ্গিত ছিল। ডায়েরির একটি জায়গায় মোসারাত তারিখ না দেওয়া পৃষ্ঠাগুলো পড়ার অনুরোধ করেছেন, কোনোভাবেই যেন ওই পৃষ্ঠাগুলো কেউ এড়িয়ে না যায় সে কথাও বলেছেন। ছয়টি ডায়েরিতেই মোসারাত তাঁদের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে লিখেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর টাকা–পয়সার লেনদেনসংক্রান্ত একটি অডিও পাওয়া যায়। ওই অডিও পরীক্ষা–নিরীক্ষার আওতায় আনবে পুলিশ।
মামলার এজাহারে পিয়াসা ও পরে হুইপপুত্র শারুন চৌধুরীর নাম এসেছে। তাঁদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ জানায়, মামলার তদন্তে যাঁর যাঁর নাম আসবে, প্রত্যেকের সঙ্গে পুলিশ কথা বলবে। প্রাসঙ্গিক বক্তব্য আদালতে ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থাও করবে।