এবিএনএ : গত কয়েক বছর ধরেই স্থানীয় নানা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল ভুগছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর বিশৃঙ্খলা নিয়ে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হারের পর এই অনৈক্যের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়। আর আগামী জাতীয় নির্বাচনে এর কী প্রভাব পড়ে সে নিয়ে কথাবার্তা উঠেছে দলের ভেতরেই।
বুধবার আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেয়া একাধিক নেতা বলেন, সারা দেশে আওয়ামী লীগের যেসব জেলা কমিটিতে বিশৃঙ্খলা চলছে সব কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে তা এ মুহূর্তে নয়।
নেতারা জানান, এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা আরও যেন বেড়ে না যায়, সে বিষয়টিও ভাবনায় আছে। কার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া যায়, এ বিষয়ে আলাদা আলাদা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই তাড়াহুড়ো করা যাবে না।
বৈঠকে উপস্থিত নেতারা নিশ্চিত এও জানান, গত ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ভোটে হারের পেছনে দলের কোন্দলের বিষয়টি জানেন দলীয় সভাপতি। তিনি সে কথা বলেছেনও। তিনি বলেন, ‘আমি জানি সেখানে কার কি অবস্থা। আমার কাছে কুমিল্লার রিপোর্ট আছে।’
বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে বলে জানান শেখ হাসিনা। ওই নির্বাচনের আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ থেকে তিনটি করে নাম পাঠানো হয়। দলের সদস্যরা ভোটাভোটি করে সর্বাধিক সমর্থন পাওয়া তিনজনের নাম প্রস্তাব করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এদের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নিয়েছে কেন্দ্র। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তবে সেই সংখ্যাটা খুবই কম।
বৈঠক থেকে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের কমিটি বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্তও হয়। কিছুদিনের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি দেয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে বলে বৈঠকে উপস্থিত নেতারা জানান।