এবিএনএ : ছয়টি মুসলিম দেশের নাগরিক ও শরণার্থীদের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করার উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটির সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন ও অন্যান্যরা। তবে এবারও ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে প্রতিহত করা যাবে কি-না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এর আগে মার্কিন আদালত ট্রাম্পের এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।
এরপর অনেকটা নীরবে ‘সংশোধিত’ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার নির্বাহী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প। এবার এই নির্বাহী আদেশ কার্যকর করতে আটঘাট বেঁধেই নেমেছেন তিনি। তাই ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশটি ঠেকানো খুবই কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
‘সংশোধিত’ এ নিষেধাজ্ঞায় গ্রিনকার্ডধারী বা যাদের ভিসা রয়েছে তাদের ছাড় দেয়া হয়েছে। তাই এবার বিমানবন্দরে আগের মতো বিশৃঙ্খলা, গণআটক বা অনাকাঙ্ক্ষিত কোন পরিস্থিতি তৈরি হবে না।
প্রথমবার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির পর যে বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছিল এবার তার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে হোয়াইট হাউসের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে কোন ধরনের পূর্বপ্রস্তুতি বা নোটিস ছাড়াই আগের নিষেধাজ্ঞাটি জারি করা হয়েছিল।
এর আগে সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এবার ইরাককে বাদ দিয়ে অপর ছয়টি দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সোমবার জারি করা নতুন নির্বাহী আদেশে সব ধরনের শরণার্থীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ১২০ দিন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং সিরিয়া, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, ইয়েমেন ও সুদানের নাগরিকদের ওপর ৯০ দিনের জন্য নতুন করে ভিসা দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নতুন আদেশটি কার্যকর হবে ১৬ মার্চ। তবে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে যারা বসবাস করছেন ও যাদের ভিসা রয়েছে তারা নতুন নির্বাহী আদেশের আওতামুক্ত থাকবেন।