
ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, সুইজারল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা ২০০৩ সালে সার্স প্রাদুর্ভাবের সময় রোগীর শরীর থেকে এই অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করে রেখেছিলেন। ওই বছর সার্স ভাইরাসে অন্তত ৭৭৪ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে
সোমবার এই গবেষকরা বলেছেন, তারা ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য ভিন্ন ধরনের অন্তত ২৫টি অ্যান্টিবডির পরীক্ষা চালিয়েছেন। এতে দেখা গেছে, সার্স ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর শরীর থেকে সংগৃহীয় অ্যান্টিবডি করোনার সংক্রমণ ঠেকিয়ে দিয়েছে।
গবেষকরা বলেছেন, সার্স রোগীর অ্যান্টিবডি করোনার নির্দিষ্ট প্রোটিন স্পাইক টার্গেট করে। এতে দেখা যায়, কোষে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে সার্স রোগীর অ্যান্টিবডি।
কোভিড-১৯ মহামারির চিকিৎসায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শতাধিক ভ্যাকসিন এবং ওষুধের পরীক্ষা চলমান রয়েছে। এই পরীক্ষার মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর অ্যান্টিবডি অসুস্থ রোগীর শরীরেও প্রয়োগ করা হয়েছে।
সুইজারল্যান্ড এবং মার্কিন বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা ল্যাবরেটরিতে করা হয়েছে। এখনও মানবদেহে এই অ্যান্টিবডির পরীক্ষা হয়নি। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ন্যাচারে প্রকাশিত গবেষণায় গবেষকরা বলেছেন, তাদের গবেষণা একটি ধারণার প্রমাণের প্রতিনিধিত্ব করে। আর সেটি হলো- সার্সের অ্যান্টিবডি কোভিড-১৯ এর তীব্র সংক্রমণ এবং বিস্তার প্রতিরোধ করে।
Share this content: