আন্তর্জাতিক

ভারতে ঢুকে ৩০ সেনা হত্যার দাবি লস্করের

এবিএনএ : ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকে একটি ‘সাজ্যিক্যাল’ হামলা চালিয়ে ৩০ ভারতীয় সেনাকে হত্যার দাবি করেছে পাকিস্তান ভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি)।

এলইটি প্রধান হাফিজ সাঈদ বলেছেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘সার্জিক্যাল’ হামলা চালিয়েছিলেন বলে বাগাড়ম্বর করেছিলেন। কিন্তু আখনুরে ভারতীয় সেনা শিবিরে চারজন যোদ্ধা প্রকৃত ‘সার্জিক্যাল’ হামলা চালিয়েছে।

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদে গত বুধবার জামায়াত-উদ-দাওয়ার কর্মীদের সভায় দেয়া রেকর্ডকৃত ভাষণে এলইটি প্রধান হাফিজ আখনুরে ‘সাজ্যিক্যাল’ হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন।

তিনি বলেন, মুজাহিদরা আপনাদের টের পাওয়াচ্ছেন যে প্রকৃত সার্জিক্যাল হামলা আসলে কী। আমি আপনাদের মাত্র দু’দিন আগের সার্জিক্যাল হামলার কথা বলছি, এটি জম্মুর মতো জায়গায় করা হয়েছে যেখানে নাকি কেউ ঢুকারও সাহস করে না। চারজন যোদ্ধা সেনাক্যাম্পে ঢুকে দশটি কক্ষ ধ্বংস করে দিয়েছে এবং ৩০ জন সেনা নিহত হয়েছে। ক্যাম্প ধ্বংস করে পুড়িয়ে দিয়ে তারা চারজনই নিরাপদে ফিরে এসেছে। এটাই প্রকৃত সার্জিক্যাল হামলা।

গত সোমবার জম্মুর আখুনর মহকুমায় ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখার (লাইন অব কন্ট্রোল) দুই কিলোমিটার দূরবর্তী জেনারেল রিজার্ভ ইঞ্জিনিয়ার ফোর্সের (জিআরইএফ) ক্যাম্পে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে জিআরইএফের তিন জন অস্থায়ী শ্রমিক নিহত এবং একজন আহত হন।

দুই মিনিটেরও কিছুটা দীর্ঘ বক্তৃতায় এলইটি প্রধান বলেন, ‘মোদি সার্জিক্যাল হামলার কথা বলেছেন, আমি মোদির কথার জবাব দিয়েছি। নওয়াজ শরীফ মোদির কথার জবাব দেননি, আল্লাহর শোকরিয়া যে আমি মোদিকে জবাব দিয়েছি। আর মোদি অন্য কারও নয়, আমার জবাবকেই গ্রহণ করেছেন।

হাফিজ সাঈদকে ২০০৮ সালের নভেম্বর মুম্বাইয়ে হামলা চালিয়ে ১৬৬ জনকে নিহতের ঘটনার ‘মূলহোতা’ বলে অভিযোগ করে আসছে ভারত। তারা সাঈদকে ফেরার ঘোষণা করে ধরার চেষ্টা করে আসছে। তবে ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্রে হামলার ঘটনার পর সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য পাকিস্তানে গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। পরে লাহোরের হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি পান তিনি।

Share this content:

Back to top button