এ বি এন এ : ‘শাশুড়ি’ বলতেই একেকজনের মনে একেক ধরনের অনুভূতি জেগে ওঠে। শাশুড়ি মানেই নারী অথবা পুরুষ সবার মনেই একটি বিভ্রান্তি তৈরি করে। তবে স্কাইবোল্ড থেকে জেনে নেওয়া যাক কেন শাশুড়ি মা হতে পারে না? তিনি আপনার মা না বিয়ের পর এটা স্পষ্ট করে দেয় যে আপনার মা আপনারই থাকে। তিনিই আপনাকে জন্ম দিয়েছেন এবং আপনারই যত্ন করে।
বিয়ের পর জীবনে শাশুড়ির আগমন হয়। কিন্তু তিনি অন্য বংশের হয় বলে নারী-পুরুষ কারও কাছেই আপন মায়ের মতো হয়ে উঠতে পারেন না। দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্পর্ক শাশুড়ি মা হতে পারে না কারণ— তার সঙ্গে আপনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্পর্ক। আপনাকে তার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে; কারণ তিনি আপনার স্ত্রী অথবা স্বামীর মা।
মা সবজানে আপনার ছোটবেলা, পছন্দ-অপছন্দ, অভ্যাস, কাণ্ডকীর্তি, অভিরুচি এবং সব ধরনের গোপনীয় বিষয় আপনার মা জানেন। তিনি আপনাকে সেই ছোটবেলার মতোই দেখেন। একই রকমভাবে শাশুড়ি কখনো দেখবেন না। এ কারণেই নিজের মা’ই সবচেয়ে আপন হয়; কারণ সে আপনাকে আপনার মতো করেই বুঝবে। আপনার
ব্যাকগ্রাউন্ড ভিন্ন বিয়ের পর একটি মেয়ে নতুন সংসারে, নতুন পরিবেশে প্রবেশ করে। এত আত্মীয়-স্বজন, এত কিছুর মাঝেও শাশুড়ি এবং বউ একজন অপরজনের প্রতিদ্বন্দ্বী; হয় কারণ দুজনের ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পূর্ণ ভিন্ন। উভয়েরই আচার-আচারণ তাদের উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া। আপনার চিন্তাপ্রক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে শাশুড়ির চিন্তাধারা থেকে ভিন্ন হবে আপনার চিন্তাধারা। কারণ, যেভাবে করলে আপনি খুশি হবেন সেভাবে করে আপনার মা চিন্তা করবে। কিন্তু শাশুড়ি চিন্তা-চেতনা আপনার ভালো লাগার ওপর নির্ভর করবে না। অগ্রাধিকার ভিন্ন হতে পারে এটা বড় একটা কারণ। আপনার মা’র কাছে আপনি যা খুশি চাইতে পারেন। তিনি অগ্রাধিকারের সঙ্গে সেটি পূরণ করবেন।
কিন্তু আপনার শাশুড়ির ক্ষেত্রে সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে। বরং আপনাকে শাশুড়ির ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে। যাই হোক না কেন তিনি আপনার স্বামী অথবা স্ত্রীর মা। জীবনধারায় ভিন্নতা মায়ের ঘরের জীবনধারা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন শাশুড়ির ঘরের জীবনধারা। শাশুড়ির ঘরের ভিন্ন জীবনধারা সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে বাধ্য করা হয়। মানিয়ে নিতে হয় মা ও মেয়ের মধ্যে মানিয়ে নেওয়ার কিছু নেই। কোনো বাধ্যবাধকতা বা কোনো শর্ত নেই। কিন্তু শাশুড়ির ঘরে সবার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়।
Share this content: