আমেরিকালিড নিউজ

হঠাৎ সস্ত্রীক ইরাক সফরে ট্রাম্প, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা

এবিএনএ: অঘোষিত সফরে হঠাৎ ইরাক সফরে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। রাজধানী বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সঙ্গে বড় দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তারা। তবে ঘোষণা ছাড়াই কোনো বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের সফরকে ভালোভাবে নেয়নি দেশটির রাজনীতিকরা। স্থানীয় বিভিন্ন নেতারা এই সফরের কঠোর সমালোচনা করে, সফরকে সার্বভৌমত্বের প্রতি অশ্রদ্ধা বলে অভিহিত করেন। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার। ক্রিস্টমাস ডে-তে এই সফর শেষে হোয়াইটহাউজের এক বিবৃতিতে ইরাকে সৈন্যদের কাজ ও ত্যাগের জন্য ধন্যবাদ জানান।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জিম ম্যাটিসের পদত্যাগের পর ওই অঞ্চলে সম্পর্কের কৌশলগত দিক পর্যালোচনায় ট্রাম্প এই সফর করেন। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ৫ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। ইসলামিক স্টেট (আইএস) মিলিশিয়াদের বিপক্ষে যুদ্ধে ইরাক সরকারকে কৌশলগত সহায়তা দেন এসব সৈন্যরা। ইরাক সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদির সঙ্গে একটি বৈঠকের কথা থাকলেও তা বাতিল করে বাগদাদ। তবে হোয়াইট হাউজ থেকে বলা হয়, টেলিফোনে মাহদির সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি ওয়াশিংটন সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।

হঠাৎ সস্ত্রীক ইরাক সফরে ট্রাম্প, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা

ট্রাম্প, মেলানিয়া ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বিমান নিয়ে পশ্চিম বাগদাদে যান। সেখানে একটি রেস্টুরেন্টে তিনি সেনাদের সঙ্গে মিলিত হন। এই অঞ্চলে ট্রাম্পের প্রথম সফর এটি। এ সময় তিনি সেনাদের সঙ্গে সেলফি তুলে বড়দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। প্রায় তিন ঘণ্টা তিনি সেখানে অবস্থান করেন।

ট্রাম্প বলেন, দুই বছর আগে যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেই তখন তারা (আইএস) ছিল একটি শক্তিশালী গ্রুপ। তবে এখন তাদের সেই প্রভাব আর নেই। এটা দারুণ একটা কাজ হয়েছে।

হঠাৎ সস্ত্রীক ইরাক সফরে ট্রাম্প, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা

এদিকে ঘোষণা ছাড়াই ট্রাম্পের এমন সফরকে ভালোভাবে নেয়নি ইরাকের রাজনীতিবদরা। তারা এমন সফরকে দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করেন। দেশটির পার্লামেন্টের অন্যতম বিরোধী দল ইসলাহ নেতা সাবাহ আল-সাদি ইরাকি পার্লামেন্টের এক জরুরি আহ্বান করেন| তিনি বলেন, ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এটি। ট্রাম্পের এ ধরনের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকা উচিত। ট্রাম্পের উচিত তার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানা। কারণ ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দখলদারিত্বের অবসান ঘটেছে।

শিয়া নেতা মুক্তাদা আল-সদর ইসলাহ এর নেতা। ২০০৩ সালে বিধ্বংসী অস্ত্র ও আল কায়েদার উপস্থিতির অজুহাতে ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেনের সময় ইরাক আক্রমণ করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকেই ইরাকে বিদেশি সেনাদের উপস্থিতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন সদর।

Share this content:

Related Articles

Back to top button