অনুমোদনের আগেই মডেলিং, ২০০৫৬ ডলার পারিশ্রমিক নেন মেলানিয়া ট্রাম্প

এবিএনএ : যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াকিং ভিসা পাওয়ার আগে কমপক্ষে ১০টি এসাইনমেন্টে কাজ করেছিলেন মেলানিয়া ট্রাম্প। এবং এর বিনিময়ে তিনি ২০ হাজার ৫৬ ডলার পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালের অক্টোবরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অনুমতি পান। কিন্তু তার আগেই তিনি ১০টি মডেলিং কাজ করেন। এর বিনিময়ে তাকে ওই অর্থ দেয়া হয়। অর্থাৎ আইনগত অনুমোদন পাওয়ার আগেই তিনি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে মডেলিং করেছিলেন টাকার বিনিময়ে। এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা এপি’র হাতে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ এসেছে। মেলানিয়া ট্রাম্পের স্বামী ডনাল্ড ট্রাম্প এবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী। এর আগে তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র সহ সারাবিশ্বের পত্রপত্রিকায়। তখনই এ বিষয়ে মেলানিয়া কোনো কথা না বললেও কিছুদিন পরে ট্রাম্প বলেছিলেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন মেলানিয়া। কিন্তু যতদূর জানা যায় তাতে এ পর্যন্ত মেলানিয়া ওই সংবাদ সম্মেলন করেন নি। তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্বামীকে নারী বিষয়ক স্ক্যান্ডাল থেকে বাঁচাতে। এ অবস্থায় এপি তার রিপোর্টে বলেছে, ডনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচটারণায় অভিবাসন বিরোধী কঠোর অবস্থানের কথা বলেছেন। যারা অভিবাসন বিষয়ক আইন লঙ্ঘন করেছেন তাদেরকে দেখে নেয়ার কথা বলেছে । সেক্ষেত্রে যদি তার স্ত্রী মেলানিয়া এ আইন লঙ্ঘন করে থাকেন তাহলে তিনি কি করবেন সে বিষয়ে কিছুই বলেন নি। তিনি বলেছেন, অবৈধভাবে যেসব অভিবাসীকে অর্থ দেয়া হবে তাতে নিষেধাজ্ঞা আছে ফেডারেল আইনে। তাহলে তার স্ত্রীকে যে কাজ করার অনুমতি দেয়ার আগে কাজের জন্য অর্থ দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কি বলবেন! উল্লেখ্য, ২০০১ সালের মার্চে গ্রিন কার্ড পান মেলানিয়া ট্রাম্প। এরপর তিনি ২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন। মেলানিয়া সব সময়ই বলে আসছেন যে, তিনি আইনগতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন। কখনওই তিনি অভিবাসন বিষয়ক আইন ভঙ্গ করেন নি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্বামীর পক্ষে কথা বলতে গিয়ে তিনি এমন কথা বলেছেন। মেলানিয়া ট্রাম্প মাঝেমধ্যেই মডেল হিসেবে কাজ করেছেন তার প্রথম নামটি ব্যবহার করে। তবে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে বলেছেন, যে, বি১/বি২ ভিজিটর ভিসার অধীনে ১৯৯৬ সালের ২৭শে আগস্ট তিনি স্লোভেনিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান প্রথম। এরপর ১৯৯৬ সালের ১৮ই অক্টোবর অর্জনর করেন এইচ-১বি ওয়ার্ক ভিসা। কিন্তু এপির হাতে যেসব ডকুমেন্ট এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, তাকে ১০ থেকে ১৫ই অক্টোবরের মধ্যে মেলানিয়াকে ১০টি মডেলিং এসাইনমেন্টের জন্য অর্থ পরিশোধ করা হয়েছিল। ওই সময় তাকে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজের বিনিময়ে কোনো অর্থ নিতে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল না। এপি এ বিষয়ে তাদের হাতে থাকা তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে দেখেছে যে, তার ভিসার বাইরে ছিল এই অর্থ লেনদেন।
Share this content: