জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

আবরার হত্যার দায় বুয়েট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না: শিক্ষক সমিতি

এবিএনএ: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষক সমিতির এক বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অতীতে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো নির্যাতন ও র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিষ্ক্রিয় ছিল। যে কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। এর ফলে আবরার হত্যাকাণ্ডের মতো নির্মম ঘটনা ঘটেছে, যার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না।

মঙ্গলবার দুপুরে দেওয়া এ বিবৃতি আরও বলা হয়, আবরারের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বুয়েট শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে কোনো শিক্ষার্থী নির্যাতন ও হত্যার শিকার হবেন- এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। আবরার হত্যার ঘটনা প্রমাণ করেছে- শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।

বিবৃতিতে আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করে বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাছে দাবি জানানয় বুয়েট শিক্ষক সমিতি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।

দুপুরে বুয়েট শহীদ মিনারের পাদদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ রানা। এ সময় তিনি বলেন, শিক্ষক সমিতি ছাত্রদের এই আন্দোলনের সঙ্গে একমত। এটি যৌক্তিক বলে মনে করি আমরা। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আগামীকাল সকালে শিক্ষক সমিতির বৈঠক আছে। ওই বৈঠকে অতীতে যেসব অনিয়ম হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে পরবর্তী কর্মসূচি, করণীয়, পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। তিনি শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। রোববার রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে চকবাজার থানা পুলিশ। জানা যায়, ওই রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে আবরারকে কয়েক ঘণ্টা ধরে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েক নেতা। এ ঘটনায় পরে গ্রেফতার করা হয় বুয়েট ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button