এ বি এন এ : মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করার প্রতিবাদে দলটির ডাকা ২৪ ঘণ্টার হরতাল চলছে। তবে রাজধানীর কোথাও হরতালের লেশমাত্র নেই। অন্যান্য কর্মদিবসের মতো বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে যানজট দেখা গেছে। সকাল থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হরতাল আহ্বানকারীদের কোনো নেতাকর্মীকে রাজপথে দেখা যায়নি।
এদিকে, হরতালে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। রাজধানী গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি ৠাব সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর শ্যামলী, আসাদগেট, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল, বনানী, মগবাজার, রমনা, প্রেসক্লাবসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
সকালে গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাস চালকরা। তবে এখন পর্যন্ত দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে দুপুরে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাস মালিক সমিতি।
এদিন রাজধানীর কোথাও জামায়াত-শিবিরকর্মীদের পিকেটিং বা ঝটিকা মিছিলের খবর পাওয়া যায়নি। ফলে হরতাল অনেকটা নিয়ম রক্ষায় পরিণত হয়েছে।পায়ে হেঁটে অফিস যাচ্ছিলেন আবু সায়েম নামে এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী। মগবাজার মোড়ে তিনি বলেন, হরতাল নিয়ে একটা সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আতঙ্ক ছিল। এখন তা অনেকটা কেটে গেছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হরতালের দায়িত্বপালনরত পুলিশ সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
গাবতলী- যাত্রাবাড়ী রুটের ৮ নম্বর বাসের চালক কুদ্দুস বলেন, সকাল থেকেই গাবতলী থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বাস ছাড়ছে। আমরাও বের হয়েছি। রাস্তায় যাত্রী সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য।