এবিএনএ : নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রস্তাবনা রাষ্ট্রপতিকে জানাতে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির নিকট খালেদা জিয়ার প্রস্তাবনাগুলো পেশ করার জন্য তার একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার টেলিফোনে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন। সেখানে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। আজ (বুধবার) আবার লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে চিঠি দিচ্ছি। আশা করছি রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে আমাদের দলকে সময় দেবেন।’
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধান হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অহেতুক কালক্ষেপণ না করে, একগুয়েমি পরিত্যাগ করে জাতির মঙ্গলের জন্য একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো গঠনের জন্য প্রতিনিধিত্বশীল পার্লামেন্ট গঠন অনিবার্য। সে কারণেই শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সাহসী নির্বাচন কমিশনের কোনো বিকল্প নেই। তাই আসুন শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে খালেদা জিয়ার দেওয়া প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলি এবং রাজনৈতিক সঙ্কট থেকে মুক্ত হয়ে টেকসই উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এক সাথে কাজ করি।’
তিনি আরও বলেন, আমরা ব্যর্থ হলে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আমরা ব্যর্থ হতে চাই না। সকল বাধা অপসারণ করে বিজয় অর্জন করতে চাই। এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল জানান, তার স্বাক্ষরে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি যাবে আজই।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমরা মানি বা না মানি, ভালো বা মন্দ, আমাদেরকে স্বীকার করতে হবে, বাস্তবতার নিরিখে যে, আমাদের একজন রাষ্ট্রপতি আছেন। রাষ্ট্রপতি ইন এ অফিস, ইজ এ ইন্সটিটিউশন। কে ওখানে আছে, কিভাবে আছে, সেটা বড় কথা নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কেনো রাষ্ট্রপতি সাথে সাক্ষাত চাই, আমরা মনে করি, তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান। সেখানে তিনি যদি এ ব্যাপারে অবগত হন, তাকে যদি আমরা উৎসাহী করতে পারি, আমার মনে হয়, এই সমস্যা সমাধানে তিনি একটি ভুমিকা রাখতে পারেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া এটা নতুন কোনো প্রস্তাব নয়। ১৯৯১, ১৯৯৬, এবং ২০০১ সালে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পেরেছে। আমরা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন পেয়েছিলাম। আর সেজন্য বিএনপি সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা প্রসঙ্গে কথা বলছে ।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- দলের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।