এ বি এন এ : ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে শনিবার সারা দিন রাজধানীতে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ বর্তমানে বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করছে। এর প্রভাব পড়ছে রাজধানীসহ সারা দেশে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে ভারী বর্ষণ। সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে দমকা হাওয়া।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া শনিবার সারা দিনই ঢাকায় বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাবে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সকালেই বেশ ভোগান্তিতে পড়েছে রাজধানীবাসী। দমকা হাওয়ার প্রভাবে বৃষ্টির পানি বেশ শীতল অনুভব হচ্ছে। এর ফলে বাইরে চোখে পড়ছে না পর্যাপ্ত রিকশা-সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কর্মজীবী মানুষেরা। একই সঙ্গে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও শ্রমজীবীরা।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।
শনিবার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে।