এ বি এন এ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আপনারা নতুন নতুন বাজার খুঁজে বেড়ান। কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা সেটা বিশ্লেষণ করে বাজার খুঁজুন। বাজার খুঁজে নিজেদের বের করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু বাজার খোঁজার উদ্যোগটা আপনাদের নিতে হবে।’
আজ রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দাটা যদি না হতো, আমাদের রফতানির টাকার অংকটা আরো বেশি দেখাতে পারতাম। তারপরও রফতানিতে যা আয় হচ্ছে, সেটা বড় কথা।
দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করেছি। খাদ্য ক্রয় করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হতো। এখন তা হয় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনজি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে কোনো ব্যবসায়ী ঠিক মতো ব্যবসা করতে পারেননি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা ক্ষমতায় আসার পর সার্বিক পরিকল্পনায় ব্যবসা খাতকে এগিয়ে নিতে থাকি।
তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের সমালোচনা করে বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকতে কেবল স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিজেদের জন্য কাজ করেছে। কিন্তু আমরা দেশের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন এদেশের মানুষকে উন্নত জীবন দিতে। কিন্তু ১৫ আগস্টে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়। তারপর ২১ বছর বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত হয়েছিল।
তিনি বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা ক্ষমতায় এসে রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট নির্মাণ শুরু করি। সবখাতের মতো ব্যবসাখাতের উন্নয়নেও কাজ শুরু করি।
তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আবারো দেশ পিছিয়ে যায়। ৭ বছর পর আমরা আবারো ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়নে কাজ করি। ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাপী মন্দা ছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রে ভয়ভীতি কাজ করতো। সব দূর করে আমরা মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছি।
বক্তৃতার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শাহাদত বরণকারীদের। একইসঙ্গে স্মরণ করেন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েত উল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মরফুহা সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ২০১১-২০১২ ও ২০১২-২০১৩ বছরের জন্য সর্বমোট ১১৩টি জাতীয় রফতানি ট্রফি ও সনদ বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে ৫২টি স্বর্ণ, ৩৭ রুপা, ২৪ ব্রোঞ্জ ট্রফি রয়েছে।