এবিএনএ :
১. রুটি ফ্রিজিং করলে দ্রুত শুকিয়ে যায়। অবশেষে শুকনো রুটি খেতে হবে যা স্বাদ ও পুষ্টি উপাদান হারায়। বরং কক্ষের তাপমাত্রায় রেখে দিন। এভাবে দুই দিন রেখে খেতে পারবেন।
২. ধনে পাতা বা পুদিনা পাতার মতো হার্বালসমৃদ্ধ পাতাগুলো টাটকা খেতে হয়। কিন্তু বাজার থেকে কিনে সরাসরি ফ্রিজে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। অথচ এক গ্লাস পানিতে রেখে দিলেই অনেক বেশি সজীব থাকে।
৩. আলু: রেফ্রিজারেটর আলুর গন্ধ ও স্বাদ নষ্ট করে। আলু সব সময় কাগজের ব্যাগে রাখা ভালো। তবে প্লাস্টিক ব্যাগে আলুর ময়েশ্চার বের হতে পারে না। এতে দ্রুত পচন ধরে।
৪. কিছু ফল অ্যাভোকাডো, আপেল, কলা, টকজাতীয় ফল, পিচ, অ্যাপ্রিকট ইত্যাদি ফ্রিজ থেকে দূরে রাখুন। এসব ফল কেবল খাওয়ার আধাঘণ্টা আগে ফ্রিজে রাখতে পারেন কচকচে কামড়ের জন্য। লেবু, কমলা এবং লাইমের মতো ফল রান্নাঘরের কাবার্ডেই সহজে রেখে দিতে পারেন।
৫. পেঁয়াজ: ঘরের শীতল ও অন্ধকার অংশে কাগজের ব্যাগে পুরে পেঁয়াজ রাখতে পারেন। আলু থেকে দূরে রাখতে হয় পেঁয়াজ। কারণ আলুর ময়েশ্চার পেঁয়াজে পচন ধরায়। এ ছাড়া ফ্রিজেও পেঁয়াজ দ্রুত পচে যায় এবং দুর্গন্ধ ছড়ায়।
৬. টমেটো: এর বর্ণ ও রং নষ্ট হয় রেফ্রিজারেটরে। আর দ্রুত পাকাতে চাইলে কাগজের ব্যাগে ভরে ফ্রিজের বাইরে রাখুন।
৭. কেচাপ ও সয়াসস ভিনেগার এবং প্রিজারভেটিভ সংরক্ষণে ফ্রিজে রাখত হয় না। এগুলো এমনিতেই ভালো থাকে।
৮. তেল যেকোনো ধরনের তেল কক্ষের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ভালো থাকে। এদের রেফ্রিজারেটরে রাখার প্রয়োজন পড়ে না।
০৯. স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বায়ুশূন্য পাত্রে কফি সবচেয়ে ভালো থাকে। কাজেই কফি ফ্রিজে রাখার কোনো প্রয়োজনই নেই।
১০. আচার এটি পরিষ্কার বয়ামে দিব্যি বহুদিন ভালো থাকে। কাজেই ফ্রিজের জায়গা নষ্ট করে লাভ কী?
১১. বাঙ্গি বা তরমুজ ঠাণ্ডা করে খাওয়ার জন্য ফ্রিজে রাখা যায়। কিন্তু সংরক্ষণের জন্য রাখলে এদের ওপরটায় পাউডারের মতো প্রলেপ পড়ে। সজীবতাও নষ্ট হয় যথেষ্ট। তাই কক্ষের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখাই ভালো।ৎ
১২. পিনাট বাটার বাড়ির শীতল ও আলো থেকে দূরে কোনো স্থানে রেখে নিন। ফ্রিজে রাখতে নেই।
১৩. রেফ্রিজারেটরে রাখলে মধুতে বেশি ঘন ভাব চলে আসে। মধু সূর্যের আলো থেকে দূরে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন।
১৪. জ্যাম জেলি ও জ্যামে প্রচুর পরিমাণ প্রিজারভেটিভ থাকার কারণে এগুলো রেফ্রিজারেটরে রাখার প্রয়োজন হয় না।
১৫. বেরি জাতীয় ফল এমনিতেই বেশি দিন ভালো থাকে না। ফ্রিজে রাখলে এর টাটকা ভাব চলে যায়। তাই এ ফল স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখ দ্রুত খেয়ে ফেলাই ভালো।
১৬. রসুনেরর কড়া গন্ধ রেফ্রিজারেটরের অন্যান্য খাবারে ছড়িয়ে পড়ে। ঠাণ্ডা ও অন্ধকার অংশে কাগজের ব্যাগে রসুন সংরক্ষণ করুন।
১৭. মরিচ লাল, সবুজ বা হলুদ যাই হোক না কেন, এগুলো খোলা অবস্থাতেই বেশি ভালো থাকে। কাগজের ব্যাগে সংরক্ষণে ভালো কাজ দেয়।
১৮. বাদাম ও শুকনো ফল ঘরের শীতল ও অন্ধকার অংশেই ভালো থাকবে।
১৯. মসলা কখনোই রেফ্রিজারেটরে রাখতে নেই। রান্নাঘরে বয়ামবন্দি করে রাখুন।
Share this content: