এ বি এন এ : আইবিএম এর সিইও জিনি রোমেতি, জেনারেল মটরস’র মেরি বারা আর হিউলেট প্যাকার্ডের মেগ হুইটম্যানের কথা শুনলে মনে হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় কোম্পানির প্রধান পদে এখন নারীদের অবস্থান বেশ ভালো।
কিন্তু ফরচুনের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, এগিয়ে যাওয়ার দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্রে নারীরা এখনো ম্যালা পিছিয়ে। উপরের সারি থেকে ১০০০টি কোম্পানির খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে এগুলোর মোটে ৭ শতাংশের সিইও পদে নারী রয়েছেন।
সেলস অ্যানালিটিকস সফটওয়্যার কোম্পানি ডিসকভারঅর্গ জরিপটি চালিয়েছে। এতে দেখা গেছে কম্পানিগুলোতে সি-পর্ায়ের নির্বাহীদের মধ্যে নারী রয়েছেন ১৮ শতাংশ। চিফ অপারেটিং অফিসারদের মধ্যে ৭.২ শতাংশ আর চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসারদের মধ্যে ৮.৮ শতাংশ নারী।
তবে চিফ মার্কেটিং অফিসারদের মধ্যে অর্ধেকই নারী আর চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসারদের মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী।
ডিসকভারঅর্গের কো-ফাউন্ডার হেনরি চাক’র মতে, নারীরা এখনো কবুতরের খোপেই বন্দি।
আর কেবল ফরচুনের রিপোর্ট কেনো, আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি উইমেন স্টাডির মতেও নেতৃত্বের সকল পর্যায়েই নারীরা পিছিয়ে রয়েছে, হোক সে রাজনীতিতে কিংবা শিক্ষাক্ষেত্রে।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে প্রতি ৫ জন পুরুষের বিপরীতে একজন নারী। ২০১২ সালের একটি জরিপ মতে মাত্র ২৬ শতাংশ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পদে ছিলো নারীর অবস্থান।
এএইউডব্লিউর মতে নারীদের নেতৃত্বের পর্যায়ে এগিয়ে আসতে তাদের নিজেদের যেমন আগ্রহী হতে হবে, তেমনি ঘর-গৃহস্থলীর কাজে পুরুষরা এগিয়ে না এলে নারীরা পিছিয়েই থাকবে।