এবিএনএ: মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার প্রভাব বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে পড়বে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিজয়ের মাসে যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত ষড়যন্ত্রের অংশ বলেও মনে করেন তিনি। সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাব এবং বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও পররাষ্ট্র দপ্তর। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে এমন নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় ঢাকা। ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে ব্যাখ্যা চায় বাংলাদেশ। মিলার বিষয়টি বাইডেন প্রশাসনকে অবহিত করবেন বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে বিষয়টি নিয়ে ফের প্রশ্ন করা হয় ওবায়দুল কাদেরের কাছে।
জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘র্যাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে বক্তব্য দিয়েছে তা নিয়ে গতকাল (রবিবার) দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। এখন বিষয়টি নিয়ে আমরা ঘাঁটাঘাঁটি করতে চাই না। এই নিয়ে দেশটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমাদের নির্বাচনে তার প্রভাব পড়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের নির্বাচন আমরাই করবো, এখানে কি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবে নির্বাচন করবো?
যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা নতুন কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ষড়যন্ত্রের বিষয়তো অবশ্যই আছে। আমি বলেছি, আমাদের এই বিজয়ের মাসে যুক্তরাষ্ট্রের যে বক্তব্য, সেটা আমাদের দেশের জঙ্গিবাদ ও তাদের পৃষ্ঠপোষক এবং সন্ত্রাসীদের উৎসাহী করবে। মূল কথা হচ্ছে এটা।
পদত্যাগ করা প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের মুখের ভাষা আওয়ামী লীগের আসল চেহারা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবকে আমি পাল্টা প্রশ্ন করতে চাই। মুরাদ যা বলেছে, তার চেয়েও ঘৃণ্য ও জঘন্য কথা বলার পরে আলালকে তিনি সমর্থন করেছে। এটা হলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের পার্থক্য। এত অশ্রাব্য ও অশোভন বক্তব্য কি করে মির্জা ফখরুল সমর্থন করেন। আমরাতো মুরাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু তারা আলালকে বহিষ্কারতো দূরের কথা নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন।’ আলালের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে কোনো মামলা করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সভায় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, ওয়াসিকা আয়শা খান, ফরিদুন্নাহার লাইলী, অসীম কুমার উকিল, দেলোয়ার হোসেন, বিপ্লব বড়ুয়া, আবদুস সবুর, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম, সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।